Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় কার্যকর হয়নি ৪ বছরেও

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৫ আগস্ট ২০২১ ২০:৪৪

সিরাজগঞ্জ: ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে কলেজ শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার চার বছর পেরিয়ে গেলেও কার্যকর হয়নি রায়। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন ওই মেধাবী শিক্ষার্থীর পরিবার। অপেক্ষায় রয়েছেন রায় কার্যকর হওয়ার দিনটির জন্য।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের ওই শিক্ষার্থীকে হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহিদ মিনারের পাশে মানববন্ধন করেছেন তার পরিবার।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে নিহত রূপার মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, চার বছর পেরিয়ে গেলেও রায় কার্যকরে কোনো ভূমিকা দেখছি না। আমার একটাই দাবি, রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। মেয়ে হারানোর বেদনা যে কত যন্ত্রণাময় সেটা আমি বুঝি। অন্য কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে খালী না হয়।

২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ের কথা উল্লেখ করে রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, চার আসামির মৃত্যুদণ্ড ও একজনের ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পর দণ্ডপ্রাপ্তরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে। এরপর আর শুনানি হয়নি। নিম্ন আদালত দ্রুততম সময়ে মামলার রায় ঘোষণা করেছিল, এতে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। কিন্তু উচ্চ আদালতে আসামিদের আপিলের পর মামলাটি গত চার বছর ধরে ঝুলে থাকায় আমরা হতাশ।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ছোঁয়া পরিবহনের বাসটি আমাদের দেওয়ার যে আদেশ আদালত দিয়েছিলেন, তাও কার্যকর করা হয়নি। গত ৪ বছর হলো অপেক্ষায় আছি, কবে দেখব বোনের হত্যাকারীদের ফাঁসি হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫), জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) আটক করে পুলিশ। সেসময় তারা প্রত্যেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। এরপর নিম্ন আদালতে ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও একজনের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে রূপাকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে পঁচিশ মাইল নামক এলাকার রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে মধুপুর থানা পুলিশ রূপার লাশ উদ্ধার করে। এ নিয়ে তখন সারাদেশে চাঞ্চল্যকর ঘটনা হিসেবে আলোড়ন শুরু হয়। পরিচয় না পেয়ে ২৬ আগস্ট ময়নাতদন্ত শেষে রূপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর ২৭ আগস্ট নিহতের বড়ভাই হাফিজুর রহমান দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে মধুপুর থানায় রক্তাক্ত লাশের ছবি দেখে শনাক্ত করেন যে অজ্ঞাত লাশটি তার ছোট বোন। এরপর ৩১ আগস্ট রূপার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সারাবাংলা/এএম

রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর