Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যয় বাড়ছে ঢাকার ৪ নদীর তীরভূমি রক্ষা প্রকল্পে

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ আগস্ট ২০২১ ০৮:৪০

ব্যয় বাড়ছে চার নদীর তীর ভূমি রক্ষা প্রকল্পে। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সেখান থেকে ৩৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বেড়ে মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার ১৮১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে খরচ বাড়ছে ৩৯ দশমিক ২১ শতাংশ। সেই সঙ্গে মেয়াদও বাড়ছে একবছর।

‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়ার্কওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এর আগে ২০১৮ সালের জুলাই হতে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮ সালের ২২ মে একনেকে অনুমোদিত হয়।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, প্রকল্পটিতে নতুন কিছু অঙ্গ অন্তর্ভুক্তি, কিছু অঙ্গের ব্যয় হ্রাস বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পাদন করার জন্য ১ হাজার ৮৮৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত আরডিপিপির ওপর গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম এবং গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরে দ্বিতীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্তে পুনর্গঠিত আরডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। পুনর্গঠিত প্রকল্প ব্যয় ১ হাজার ১৮১ কোটি ১০ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় হতে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের উদ্দেশ্য, এসব নদীর তীরভূমির অবৈধ দখল রোধ এবং দখলমুক্ত অংশের সৌন্দর্য বর্ধন করা। এছাড়াও নদীর উভয় তীরের পরিবেশগত উন্নয়ন, নদীর দখলমুক্ত তীরভূমিতে অবকাঠামো, নদীর নব্যতা, গভীরতা ও প্রশস্ততা বৃদ্ধি এবং নদীর পানি দূষণ হ্রাস করা।

প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে বলা হয়েছে, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ওয়াকওয়ে সংলগ্ন ৩৫ দশমিক ৩৫৮ কিলোমিটার বুল্ডার প্রোটেকশন ফর সিকোর ২ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার জেটির জন্য পার্কিং ইয়ার্ড ২১ কিলোমিটার তৈরি এবং সদরঘাট ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় যাত্রীসেবার জন্য চারটি ঘাট নির্মাণ করা হবে।

রেট শিডিউল পরিবর্তন ও বিদ্যমান কিছু অঙ্গের ব্যয় হ্রাস বৃদ্ধি: পন্টুন, পায়ে হাঁটার সেতু, রেলিং, সীমানা প্রাচীর, সীমানা পিলারসহ বিভিন্ন অঙ্গের প্রাক্কলনে ২০১৪ সালের পরিবর্তে ২০১৮ সালের রেট শিডিউল অনুসরণ এবং কিছু অঙ্গের পরিমান হ্রাস বৃদ্ধি হওয়ায় বিদ্যমান কিছু অঙ্গের ব্যয় হ্রাস বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এছাড়া মাটি খনন কাজ ১৩ লাখ ২১ হাজার ৫৮৩ ঘন মিটার বৃদ্ধি। নদীর তীরভূমিতে ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ ২৩ হাজার ৫৮৫ মিটার বৃদ্ধি। নদীর তীরভূমিতে কলামের ওপর ওয়াকওয়ে নির্মাণ ১১ হাজার ৮৩০ মিটার বৃদ্ধি। তীর রক্ষা কাজ ২০ হাজার ৯৮ মিটার হ্রাস এবং রেলিং নির্মাণ ৬ হাজার ৩৯০ মিটার হ্রাস ইত্যাদি।

মেয়াদ বৃদ্ধি: বন্যা পরিস্থিতির কারণে নদীর পানি দীর্ঘদিন বিপদসীমার ওপরে থাকায় দরপত্র যথাসময়ে আহ্বান করা সম্ভব করা হয়নি, তাই প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাই হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রাজধানী ঢাকাকে বেষ্টিত করে রাখা চারটি নদীর তীরভুমিতে অবৈধ দখল রোধ, পরিবেশগত উন্নয়ন সাধন, সৌন্দর্য বর্ধন ও জনসাধারণের চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

সারাবাংলা/জেজে/এএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর