মুগদায় নাসির হত্যা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার
২৭ আগস্ট ২০২১ ১৯:৫৯
ঢাকা: মুগদায় রিকশাচালক নাসির হোসেনকে (৪৫) হত্যায় অভিযুক্ত চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মতিঝিল বিভাগীয় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। ঈদুল আজহায় কসাইয়ের কাজ করে সেই কাজের পাওনা চাইতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপপুলিশ কমিশনারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সবুজবাগ জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে মুগদা থানা পুলিশ অভিযানটি পরিচালনা করে।
অভিযানে গ্রেফতার চার আসামি হলেন— মো. রিপন (১৯), মো. খোকন (২১), মো. মোস্তফা (৪২) ও খুকি (৪০)। এর মধ্যে রিপন ও খোকন আপন সহোদর। তাদের মা খুকি। তাদের বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলায়। ১২২ উত্তর মুগদা এলাকায় থাকতেন তারা।
মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ আসামিদের গ্রেফতারের তথ্য জানিয়ে বলেন, নাসির হত্যার ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট মুগদা থানায় ৩০২ ধারায় একটি মামলা হয়। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই হত্যা মামলার মূল আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, নাসির হোসেন পেশায় রিকশাচালক হলেও গত কোরবানির ঈদের দিন মামলার ৬ নম্বর আসামি শামীমের সঙ্গে কসাইয়ের কাজ করেছেন। কিন্তু তার পারিশ্রমিক পরিশোধ করেননি শামীম। টাকা চাইতে বুধবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নাসির যান শামীমের কাছে। মামলার এক নম্বর আসামি মোস্তাক ফকির বাঘা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় শামীমের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন মোস্তাক ফকির।
পুলিশ জানিয়েছে, একপর্যায়ে টাকা চাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে মোস্তাক ফকির বাঘার সঙ্গে নাসিরের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এর জের ধরেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১২২ উত্তর মুগদা এলাকায় আমির মিয়ার বাড়ির সামনে নাসিরের পথরোধ করে এলোপাতাড়িভাবে লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে মোস্তাক ফকির বাঘার নির্দেশে তার দোকান থেকে গরু কাটার ছুরি নিয়ে এসে নাসিরকে পেছন থেকে আঘাত করেন মো. রিপন। পরে রিপনসহ অন্যরা পালিয়ে যান।
ডিসি আব্দুল আহাদ জানান, স্থানীয়রা নাসিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাসিরকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিতে বলেন। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে ভর্তির পরামর্শ দেন। তবে মিটফোর্ড হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি না থাকায় তাকে গ্রিন রোডে ইউনিহেলথ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে নাসির মারা যান।
ডিসি আব্দুল আহাদ বলেন, নাসির হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর