মুগদায় রিকশাচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ৩ জন রিমান্ডে
২৭ আগস্ট ২০২১ ২০:১৩
ঢাকা: মুগদায় রিকশাচালক নাসির হোসেন (৪৫) হত্যা মামলার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঈদুল আজহায় কসাইয়ের কাজ করে সেই কাজের পাওনা চাইতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন নাসির।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত তিন আসামিকে রিমান্ডের আদেশ দেন। তিন আসামি হলেন— মো. মোস্তফা (৪২), মো. রিপন (১৯) ও মো. খোকন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। আদালত শুনানি নিয়ে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপপুলিশ কমিশনারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সবুজবাগ জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে মুগদা থানা পুলিশ অভিযানটি পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন- মুগদায় নাসির হত্যা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাসির হোসেন পেশায় রিকশাচালক হলেও গত ঈদুল আজহায় আসামি শামীমের সঙ্গে কসাইয়ের কাজ করেছেন। কিন্তু তার পারিশ্রমিক পরিশোধ করেননি শামীম। টাকা চাইতে বুধবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নাসির যান শামীমের কাছে। মামলার এক নম্বর আসামি মোস্তাক ফকির বাঘা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় শামীমের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন মোস্তাক ফকির।
পুলিশ জানিয়েছে, একপর্যায়ে টাকা চাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে মোস্তাক ফকির বাঘার সঙ্গে নাসিরের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এর জের ধরেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১২২ উত্তর মুগদা এলাকায় আমির মিয়ার বাড়ির সামনে নাসিরের পথরোধ করে এলোপাতাড়িভাবে লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে মোস্তাক ফকির বাঘার নির্দেশে তার দোকান থেকে গরু কাটার ছুরি নিয়ে এসে নাসিরকে পেছন থেকে আঘাত করেন মো. রিপন। পরে রিপনসহ অন্যরা পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা নাসিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আইসিইউ না থাকায় তাকে গ্রিন রোডে ইউনিহেলথ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে নাসির মারা যান।
সারাবাংলা/এআই/টিআর