কানাডায় নির্বাচনি সমাবেশ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিক্ষুব্ধ জনগণ প্রতিবাদ করলে ওই সমাবেশ বাতিল করা হয়। খবর বিবিসি।
দেশটির অন্টারিও প্রদেশের বোল্টন শহরে নিজ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল জাস্টিন ট্রুডোর। কিন্তু নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে পরে তা বাতিল করা হয়।
সমাবেশে জাস্টিন ট্রুডো বক্তব্য দেওয়ার সময় কয়েক ডজন ব্যক্তি সেখানে জড় হয়ে চিৎকার করে গালাগালি শুরু করেন। গতকাল শুক্রবার (২৭ আগস্ট) আয়োজিত সমাবেশটি নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর তা বাতিল করা হয়। পরে প্রচারণায় ব্যবহৃত বাসটি সরিয়ে নেয় পুলিশ।
আগামী মাসের শুরুর দিকে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে আরও জয় পাওয়ার আশা করছেন লিবালের এই প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, করোনা মহামারি সবার জন্য যে কঠিন ছিল এই বিক্ষোভ তারই প্রমাণ। আমাদের সবার জন্যই এই বছরটি কঠিন ছিল। যারা প্রতিবাদ করছেন, তাদের জন্যও এটা কঠিন বছর ছিল। আমি জানি এবং আমি রাগ, হতাশা ও সম্ভবত ভয় শুনতে পাচ্ছি।
আয়োজকরা জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারার কারণে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো।
সম্প্রতি সময়ে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন ও সরকারের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কারণে একাধিক নির্বাচনি প্রচারণার কাজ বাতিল করা হয়।
দেশটির নোবেলটন শহরে গতকাল শুক্রবার একটি বেকারি পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কিন্তু সেখানেও বাধা দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় অনেক তাকে তিরস্কার করেন এবং ‘ট্রুডো বিশ্বাসঘাতক’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখান।
এছাড়াও গত বুধবার ব্রিটিশ কলম্বিয়া সফরকালে ভ্যাকসিন বিরোধীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রুডো। এ সময় তারা করোনার ভ্যাকসিনের ডোজ নেবে না বলে চিৎকার করতে থাকেন।