আনন্দে আটখানা হওয়ার সুযোগ নেই : নানক
২৮ আগস্ট ২০২১ ১৭:৫০
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন বিশ্বে এক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কারো আনন্দে আটখানা হওয়ার কারণ নেই। আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা যখন সফলতা অর্জন করে তখন ষড়যন্ত্রও জোরদার হয়।
শনিবার ( ২৮ আগস্ট) দুপুরে ডেমরার সারুলিয়া বাজার সংলগ্ন মাঠে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘আওয়ামী লীগকে হটিয়ে দিতে হবে, আওয়ামী লীগকে অপসারণ করতে হবে।’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ওই ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে গুড়িয়ে চুরমার করে দিতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে সংগঠিত এবং ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সকল ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল একমাত্র দলের শক্তিই পারে ছিন্নভিন্ন করে দিতে, চুরমার করে দিতে।
‘বিএনপি অন্যায়, হত্যা-সন্ত্রাস, সংঘাতের বিরুদ্ধে রাজনীতি করে’ বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, এ কথা শুনে তো মরা লোকও হাসবে, ঘোড়া হাসবে! তাহলে ২১ আগস্ট ঘটল কেন? কেন গ্রেনেড হামলা চালানো হলো? কেন আমার নেত্রী শেখ হাসিনার ওপরে পাকিস্তানের আর্জেস গ্রেনেড হামলা করা হলো? কেন ২৪ জন মানুষ নিহত হলো? কারা করল? আপনারা করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া, মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা পুত্র তারেক রহমান সেদিন হামলা পরিচালনা করেছিল, শেখ হাসিনাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়ে তারা রামরাজত্ব কায়েম করতে।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট কেন ঘটল? সে বিষয়টি খুঁজতে গেলে একাত্তরকে খুঁজতে হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা প্রবাহের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমরা যখন শক্তিশালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম, সেই মুহূর্তে স্বাধীন বাংলা সরকারের ভেতরে এক বিভাজনের সৃষ্টি হলো। সেদিন খুনি মোস্তাক এই বাংলার স্বাধীনতা চায়নি। মুজিববিহীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের একটি কনফেডারেশনে পরিণত করতে চেয়েছিল। আর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে সেদিনের মেজর জিয়া মুক্তিযুদ্ধকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে, দীর্ঘায়িত করতে চেয়েছে।
নানক বলেন, একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি মুসলিম লীগ, জামায়াত, রাজাকার, আলবদর, আল শামস যারা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছিল। আর ওই অপশক্তিকে যারা আশ্রয়-প্রশয় দিয়েছিল তারা দলের জন্য শুভ কাজ করে নাই।
ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ সভাপতি মিজবাউর রহমান ভূইয়া রতন ও শরফুদ্দিন আহম্মেদ সেন্টু প্রমুখ।
সারাবাংলা/এনআর/এএম