পুলিশ সদস্যকে ‘পিষে মেরে’ মাজারে আত্মগোপন
২৯ আগস্ট ২০২১ ১১:৫৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সংকেত অমান্য করে পুলিশ সদস্যকে ‘পিষে মারা’ মাইক্রোবাসের চালকের সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর শাহ আমানতের মাজার গেট থেকে শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ সদস্যের মৃত্যু ঘটানোর পর যুবক শাহ আমানতের মাজারে এসে আত্মগোপন করেছিল।
গ্রেফতার মো. রুবেল (২৫) কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডোমখালী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. বাহাদুর।
কোতোয়ালী থানার (উপ-পরিদর্শক) এসআই মৃণাল কান্তি মজুমদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘সোর্স মারফত তথ্য পাই যে, পুলিশ সদস্যকে গাড়িচাপা দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় জড়িত এক আসামি শাহ আমানতের মাজার এলাকায় আছে। এরপর তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করি।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল জানিয়েছে— ঘটনার পর পালিয়ে সে শাহ আমানতের মাজারে এসে আত্মগোপন করে। এরপর শহরের বিভিন্ন মাজারে ঘুরে ঘুরে ভাসমানভাবে থাকছিল।
গত ৫ আগস্ট সকালে মহাসড়কের দোহাজারি হাইওয়ে থানার সামনে একটি মাইক্রোবাস দুই কনস্টেবলকে চাপা দিয়ে যায়। করোনার সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ কার্যকরে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে চেকপোস্টে দায়িত্বরত ছিলেন তারা। কক্সবাজার থেকে শহর অভিমুখী মাইক্রোবাসটিকে থামানোর সংকেত দেওয়ার পর সেটি না থামিয়ে দুই কনস্টেবলকে চাপা দেয়। এতে এক কনস্টেবল ঘটনাস্থলে মারা যান। আরেকজন আহত হন।
নিহত কনস্টেবল রাব্বি ভূঁইয়ার (২৬) বাড়ি নরসিংদী জেলায়। আহত কনস্টেবলের নাম আরাফাত হোসেন (২৭)। রাব্বি হাইওয়ে পুলিশের দোহাজারী থানায় কর্মরত ছিলেন। আরাফাতও একই কর্মস্থলে আছেন।
এরপর পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া করে মাইক্রোবাসটি আটক করে। তবে চালক-সহকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সাতকানিয়া থানায় মাইক্রোবাসের চালক, সহকারী ও মালিককে আসামি করে মামলা করেন হাইওয়ে পুলিশের এসআই ফারুক উদ্দিন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার এসআই জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় সহকারী রুবেলসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
গ্রেফতার রুবেলকে কোতোয়ালী থানা থেকে সাতকানিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে এসআই জাকির হোসেন জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/আরডি/একে