আওয়ামী লীগকে বিদায় করতে হবে: ড. কামাল
২৯ আগস্ট ২০২১ ১৪:১০
ঢাকা: গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে নেমে এই আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে।
রোববার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এই আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ তার আলোচনায় জাতীয় সরকার গঠন করার দাবি করেন। ড. কামাল হোসেনকে এই সরকারের প্রধান করার কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মানায় না।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্ব রাজনীতি করার জন্য আহ্বান জানান।
গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু আবু সাঈদসহ যারা ভুল করে গণফোরাম আলাদা প্ল্যাটফর্ম করেছে তাদের ভুল ক্ষমা করে দিয়ে কাছে টেনে নেওয়ার জন্য ড. কামাল হোসেনকে অনুরোধ করেন ডা. জাফরউল্লাহ।
আলোচনায় ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘এ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গণতন্ত্রকে অকার্যকর করেছে, সংসদকে অকার্যকর করেছে। বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে নষ্ট করে দিয়েছে। এ সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। দেশের মালিক জনগণ তাই অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। তাই সময় নষ্ট না করে পাড়ায়-মহল্লায় গ্রামগঞ্জে গিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এখনই মাঠে নামতে হবে। আমরা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করব না, আমরা গণতান্ত্রিকভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করব। ধৈর্য অনেক ধরেছি, আর ধৈর্য ধরার সময় নেই।’
ড. কামাল হোসেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে বলেন, ‘এই আইন নাগরিক সমাজ ও সাংবাদিকদের মুক্ত চিন্তা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু আজ বাংলাদেশের সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।’
জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা অভিপ্রায় অনুযায়ী আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে সংসদ সদস্যদের নিয়ে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার দাবি করেন ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। একাদশ নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে এ সরকার জনগণের সরকার নয়। তাই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে সামগ্রিকভাবে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে করণীয়সমূহ স্থির করতে হবে এবং বাস্তবায়নের অন্যতম কৌশল হিসেবে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সব কর্মকাণ্ডের জন্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য গণনির্বাচনী এলাকার জনগণের কাছে সরাসরি দায়ী থাকবে এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। জনগণের সরকার গঠন করে রাষ্ট্রের প্রধান নিবার্হী প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মহামান্য রাষ্ট্রপতি কে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়ার সাংবিধানিক বিজ্ঞান ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে