বারবার রিমান্ডে পরীমনি, বৈধতা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
২৯ আগস্ট ২০২১ ১৪:৫৫
ঢাকা: হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায় না মেনে মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়াার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। আবেদনে পরীমনিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে স্বতঃপ্রণোদিত রুল চাওয়া হয়েছে।
রোববার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আসক’র পক্ষে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন আবেদনটি দায়ের করেন।
পরীমনিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টে আবেদন করার বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।
এ বিষয়ে শুনানিতে আদালত বলেছেন, রুল রিটার্ন (পরীমনির জামিন আবেদন শুনানি প্রশ্নে রুলের জবাব) হয়ে আসুক, এরপর দেখব।
গত ২৭ আগস্ট একই বেঞ্চে পরীমনির জামিন আবেদন দ্রুত শুনানির প্রশ্নে রুল শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে গত ৪ আগস্ট বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে বনানী থানায় পরীমনির নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব। এরপর তিন দফায় পরীমনিকে মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তিনি এখন কারাগারে।
এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি জামিন চান। ১৯ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। এর বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন পরীমনি। এই আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন রাখেন।
পরদিন আবেদন ‘আর্লি হিয়ারিং’ বা নির্ধারিত সময়ের আগে শুনানি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। এতে ফল না পেয়ে ২২ আগস্টের ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি।
২৬ আগস্ট আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল দেন।
রুলে জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। জামিন আবেদনের শুনানি দ্রুত (আর্লি হিয়ারিং) তথা দুই দিনের মধ্যে করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে ১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানির দিন রাখা হয়।
এরপর আজ আসকের পক্ষে স্বতঃপ্রণোদিত রুল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদনটি করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ