Thursday 17 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২১ ১৭:০০ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২১ ১৭:০১

ঢাকা: নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

রোববার (২৯ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ ও নেদারল্যান্ডের এসএনভি অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার (এসআরএইচআর)’ এর তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুই দিনের সম্মেলনে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ বিষয়ে সেমিনার চারটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারী উন্নয়ন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, ফ্যামিলি প্লানিং বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা কেন্দ্র স্থাপন করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেন।

তিনি বলেন, একজন নারীর কখন বিয়ে হবে, কার সঙ্গে বিয়ে হবে, কখন সন্তান হবে, কতজন সন্তান হবে, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার এবং নিরাপদ মাতৃত্ব-এগুলো নারীর সাধারণ অধিকার। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেন্ডার সমতা অর্জনের মাধ্যমে নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে পনের হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অ্যাডভোকেসি ও বিসিসি কর্মসূচির মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সরকারের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি লিডার ও এনজিওদেরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে ৮ হাজার কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্লাবের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতন করে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টসে কর্মরত নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা অধিকার এবং পারসোনাল হাইজিন বিষয়ে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গার্মেন্টসে কর্মরত নারীদের জন্য সাভারে কর্মজীবি নারী হোস্টেল ও শিশুদের জন্য ১৬টি ডে-কেয়ার সেন্টার পরিচালনা করছে। গার্মেন্টস সেক্টরে কর্মরত নারী ও তাদের শিশুর স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির উন্নয়নে মাসে ৮শ টাকা করে তিন বছর মেয়াদে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মা ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও সেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রবিউল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড পলা সইনডেলার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল।

সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর