জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই: মির্জা ফখরুল
২৯ আগস্ট ২০২১ ১৭:০৮
ঢাকা: সরকার হটানোর আন্দোলনে জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘শত নাগরিক’ জাতীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য প্রয়াত সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের স্মরণে এই আলোচনা সভা আয়োজন করা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে একটা দানবীয় শক্তি আমাদের সব কিছু তছনছ করে দিচ্ছে। তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের ভবিষ্যত বংশধরকে যদি আমরা সত্যিকার অর্থেই একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিতে চাই, তাহলে আমাদের সকলকে জোটবদ্ধ হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই রাস্তায় নেমে আসা ছাড়া।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ওপর হামলার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আজকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ছেলেরা একজন সহকর্মীর মুক্তির জন্য শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে গেছে। সেই খানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশ সহকারে তাদের ওপর নির্মমভাবে আঘাত করেছে, অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে।’
‘কিছুদিন আগে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গিয়েছিল আমাদের ঢাকা উত্তর-দক্ষিণের নবগঠিত কমিটির নেতারা। কোনো উস্কানি ছাড়া, কোনো রকম ঘটনা ছাড়াই সেখানে ভয়াবহ তাণ্ডব সৃষ্টি করল পুলিশ। প্রায় ১৮৭ রাউন্ড গুলি করেছে এবং প্রায় ৪২ জনকে আহত করেছে। আমাদের আমান উল্লাহ আমান, আমিনুল হকসহ ৭২ জন নেতা সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন’-বলেন মির্জা ফখরুল।
সদ্য প্রয়াত শিক্ষাবিদ খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের বর্ণাঢ্য শিক্ষা ও কর্মজীবন তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মুস্তাহিদুর রহমানের মৃত্যুতে গোটা জাতির মধ্যে জন্য শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই শূণ্যতা সহজে পুরণ হবার নয়। মুস্তাহিদুর রহমানরা সব সময় জন্মায় না। আজকে এমন এক সময় সে চলে গেল, যখন তাকে আমাদের দরকার ছিল।’
শত নাগরিকের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহছানুল হক মিলন, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, সাংবাদিক এম এ আজিজ, এলাহী নেওয়াজ খান, বাকের হোসাইন, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও প্রয়াত খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের ছেলে খন্দকার আশফাকুর রহমান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এসএসএ