স্বাস্থ্যের গাড়িচালক মালেকের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য
২৯ আগস্ট ২০২১ ১৭:৫২
ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আব্দুল মালেককের (৬৩) বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই রুবেল শেখ সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ৩১ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এ নিয়ে মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
গত ১১ মার্চ সকালে ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই মেহেদী হাসান চৌধুরী গত ১১ জানুয়ারি চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে শিবলু নামে আরেক আসামির প্রকৃত নাম-ঠিকানা উদঘাটনসহ গ্রেফতার করতে না পারায় অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীতে নাম-ঠিকানা পেলে তার বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের কথা জানানো হয়েছে চার্জশিটে।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১ টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, ১ টি ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
জানা যায়, রাজধানীর তুরাগ এলাকায় আব্দুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, চাঁদাবজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ওই এলাকায় তিনি সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শক্তির মহড়া ও দাপট প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন। এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তুরাগে কামারপাড়াস্থ বামনের টেক এলাকার ৪২ নাম্বার হাজ্রি কমপ্লেক্স নামের ৭ম তলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও জানায়, মালেক পেশায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের একজন চালক এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা। তিনি ১৯৮২ সালে সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে চালক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরে কাজ করেন।
সারাবাংলা/এআই/এসএসএ