Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘করোনায় পরিস্থিতি কঠিন হলেও শান্তি বিরাজ করছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২১ ২৩:১৫

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ সংকটে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও দেশে শান্তি বিরাজ করছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়াও কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় অনেক দেশ অর্থনৈতিকভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লেও বাংলাদেশ সাফল্যের পরিচয় দিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

রোববার (২৯ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে আসছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই দেশের অর্থনীতি ভালো রয়েছে। সামাজিক অবস্থা ভালো আছে। দেশে শান্তি বিরাজ করছে এবং আগামীতে দেশ এগিয়ে যাবে। করোনার মধ্যেই আমাদের ছয় শতাংশ গ্রোথ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা চিকিৎসায় ব্যর্থ হয়ে থাইল্যান্ডের সরকারের পতন হয়েছে! মালয়েশিয়া সরকার পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারের অবস্থা বেহাল, অনেকে দেশের অর্থনীতি এখন হুমকির মুখে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আপানাদের সহযোগিতায় করোনা মহামারি মোকাবিলা করে যাচ্ছি। যে দুর্যোগ ১০০ বছরেও একবারও আসে না।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘এই দুর্যোগ কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, এটা মানুষের জানা ছিল না। এই মহামারিতে কী করা লাগবে জানা ছিল না। তবে সবকিছু আপনাদের সহযোগিতা নিয়েই করে যাচ্ছি। এ কারণে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা অনেক দেশে প্রশংসা পেয়েছি; বিশ্ব সংস্থা সংস্থার প্রশংসা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা। এসব সম্ভব হয়েছে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য। তারা এই কাজগুলোতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, নিজেদের জীবন বিপন্ন করে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন ল্যাবে হাজার হাজার টেস্ট করানো হচ্ছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অনেক দেশ এখনও ভ্যাকসিন পায়নি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সেবা নিতে গিয়ে চিকিৎসকসহ আমরা ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা আমরা কাজ করি যাচ্ছি। একটি ল্যাব থেকে এখন সাড়ে ৭০০টি ল্যাব হয়েছে। করোনা সেবা দেওয়ার জন্য ১৭ হাজার শয্যা করা হয়েছে। হাসপাতালে সাধারণ শয্যাও একই রয়েছে। হাসপাতালে এখন তিন ধরণের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। করোনা, নন করোনা ও ডেঙ্গু চিকিৎসা।’

ভার্চুয়াল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

করোনা জাহিদ মালেক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর