করোনায় মৃত্যু-সংক্রমণ কমলেও জটিলতা রয়ে গেছে
২৯ আগস্ট ২০২১ ২৩:২৬
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ও সংক্রমণ কমেছে বলে খুশির কিছু নেই। এটি আনপ্রেডিকটেবল ভাইরাস। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলেও জটিলতা রয়ে গেছে।
রোববার (২৯ আগস্ট) দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন।
অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, “সংক্রমণ বাড়তে পারে কি না— এটা বলা খুব কঠিন। এটি আনপ্রেডিকটেবল ভাইরাস এবং এর অনেক ধরনের ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুহার কমে আসায় স্বস্তির কিছু নেই। টানা দুই থেকে তিন সপ্তাহ করোনায় শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে ‘স্ট্যাবল ট্রান্সমিশন’ বলা যাবে।”
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সব ভ্যারিয়েন্ট দেখে ফেলেছে। এসব ভ্যারিয়েন্ট দীর্ঘ সময় থাকে না, দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কারণে বর্তমান সময়ে আলফা, বেটা, গামা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের যে বৈশিষ্ট্য আমরা দেখতে পেয়েছি বিভিন্ন দেশে, দুই থেকে তিন মাস ঝড়ের মতো প্রভাব থাকে, এরপর ধীরে ধীরে কমে যায়। হয়তো বাংলাদেশও সেই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে দেশে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসবে কি না সেটাও বলা যাচ্ছে না। এটার সম্ভাবনা সব সময় থাকবে।’
অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘যেকোনো ভ্যারিয়েন্টেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলি, তাহলে যেকোনো ভ্যারিয়েন্ট আসুক না কেন, সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি বা সংক্রমণে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি, এমন অবস্থা যদি টানা দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে রাখা যায়, তবেই বলা যাবে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে।’
ডেঙ্গু নির্ণয়ে দেশে পর্যাপ্ত এনএস-১ কিট রয়েছে জানিয়ে রোবেদ আমিন সারাদেশের হাসপাতালগুলোর প্রধানকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এলে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। জ্বর হলেই করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য পরীক্ষার পরামর্শ দেন তিনি। সেইসঙ্গে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির নির্দেশিত ই–মেইলে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য পাঠানোরও নির্দেশ দেন অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম