কম শুল্কে ১৭ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
৩০ আগস্ট ২০২১ ২০:২৬
ঢাকা: কম শুল্ক হারে চাল আমদানির জন্য শেষ দিনে আরও ১ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে ৪২৮ প্রতিষ্ঠানকে ১৭ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিল সরকার।
সোমবার (৩০ আগস্ট) নতুন করে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১ হাজার টন চাল আমদানির জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭ টন হাজার সিদ্ধ চাল এবং ২৪ হাজার টন আতপ চাল রয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নানের সই করা চিঠিতে চাল আমদানির শর্তের মধ্যে রয়েছে, আমদানি করা চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে। বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট বা ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে দেশের বাজারে বিপণন করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নামে ফের প্যাকেটবদ্ধ করা যাবে না। এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে।
জানা গেছে, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। এই সুবিধা আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। ইতোমধ্যে আমদানি করা চাল স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট ৪১ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১০ হাজার টন, ১৮ আগস্ট ৬৯ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টন, ২১ আগস্ট ৯১ প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৯১ হাজার, ২২ আগস্ট ২ লাখ ২২ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৭৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে, ২৩ আগস্ট ৯৪ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এবং ২৪ আগস্ট ৫৭ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৩৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ৩০ আগস্ট ৭৭ হাজার সিদ্ধ চাল এবং ২৪ হাজার আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম