জুলহাস-তনয় হত্যা: আসামিরা এজলাসে, রায় পড়া শুরু
৩১ আগস্ট ২০২১ ১২:১৩
ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানে ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে হত্যা মামলায় চার আসামিকে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়েছে। আট আসামির মধ্যে চার আসামির উপস্থিতিতে রায় পড়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত রায় পড়া শুরু করেছেন।
মামলার আসামিরা হলো—আনসার আল ইসলামের মিডিয়া শাখার প্রধান এবং ইন্টেলিজেন্স সদস্য মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মান (২৫), সামরিক শাখার সদস্য ও সমন্বয়ক মো. আরাফাত রহমান (২৪), ইন্টেলিজেন্স শাখার প্রধান শেখ আব্দুল্লাহ (২৭), সামরিক শাখার সদস্য আসাদুল্লাহ ওরফে ফয়সল (২৫), সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (৪২), আকরাম হোসেন (৩০), সাব্বিরুল হক চৌধুরী (২৬) ও মো. জুনাইদ আহমদ ওরফে মাওলানা জুনেদ আহম্মদ ওরফে জুনায়েত (২৬)।
আসামিদের মধ্যে মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বাকি চার আসামি পলাতক রয়েছে।
গত ২৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ তারিখ নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে প্রবেশ করে ইউএসএইড কর্মকর্তা এবং সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাসের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন হত্যা মামলা এবং সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ১২ মে আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। পরের বছর ১১ নভেম্বর চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। চার্জশিটভুক্ত ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
নিহত জুলহাস বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের আগে ‘রূপবান’ সম্পাদনার পাশাপাশি জুলহাজ উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডিতে কাজ করতেন।
সারাবাংলা/এআই/এসএসএ