৪ দিনেও মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ
১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৫২
লালমনিরহাট: জেলার বুড়িমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে মৃত দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত পায়নি স্বজনরা।
ছেলের মরদেহের জন্য অপেক্ষমান ইউনুস আলীর বাবা বুলবুল মিয়া, মা রাবেয়া বেগম, স্ত্রী আঞ্জু বেগম ও বোন বুলি খাতুন চার দিন ধরে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। কিন্তু কবে বা কখন তারা মরদেহ ফেরত পাবেন এ নিয়ে কোন কিছুই বলছে না বিজিবি, এমন অভিযোগ করেছেন তারা।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকায় মৃত দুই বাংলাদেশির স্বজন ও স্থানীয়রা মরদেহ ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তারা আমাদানি-রফতানি বন্ধ করে দেন।
তারও আগে, রোববার ভোররাতে বুড়িমারী বান্ধেরমাথা সীমান্তের ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিএসএফ’র গুলিতে সাগর ও ইউনুছ নামে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, ওই সীমান্ত দিয়ে রোববার ভোরে ভারতীয় গরু পারাপার করতে যায় বাংলাদেশি কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র চ্যাংড়াবান্ধা ক্যাম্পের টহলদল তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। সাগর এবং ইউনুস গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে বিএসএফ তাদের মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছে বলে জানা যায়। চার দিন অতিবাহিত হলেও বুধবার বিকেল পর্যন্ত মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
এ ব্যাপারে মৃত ইউনুসের বাবা বুলবুল মিয়া বলেন, তার ছেলে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন তার মরদেহ পাওয়ার অধিকার তো তাদের রয়েছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের চার দিন হয়ে গেছে কিন্তু মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে না।
বুড়িমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজও মরদেহ পাওয়া নিয়ে জটিলতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, মরদেহ ফেরতের ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হওয়ার পর বোঝা যাবে কবে বা কখন মরদেহ ফেরত পাওয়া যাবে। মরদেহ ফেরত পেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সারাবাংলা/একেএম