Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বভারতীতে অচলাবস্থা, উপাচার্য গৃহবন্দি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:১৬

কয়েকমাসের ছাত্র আন্দোলনে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ পাঁচ দিনে তা চরম পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে কংগ্রেসের ছাত্র শাখা ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্দোলনে আরও যুক্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র শাখা তৃণমূল ছাত্রপরিষদ এবং সিপিএমের ছাত্রশাখা এসএফআই। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ দাবি করেছে।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্যও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছেন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসে পৌঁছেছে পুলিশ। উপাচার্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে পুলিশ প্রহরা বসেছে বলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।

উপাচার্যের অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। খাবার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের পাল্টা বক্তব্য, সকাল-বিকেল উপাচার্যকে খাবার পাঠাচ্ছেন তারাই। বুধবার সকালে এবং সন্ধ্যায় উপাচার্যকে খাবার পাঠানো হলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ।

এদিকে, ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। ওই দিন শান্তিনিকেতনের প্রাণকেন্দ্র ছাতিমতলায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ফি-বৃদ্ধিসহ একাধিক বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখান। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এরপর তিন ছাত্র সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান এবং রূপা চক্রবর্তী অর্থনীতি বিভাগের একটি ঘরের তালা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন।

বিজ্ঞাপন

এরপরেই উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই তিন ছাত্রকে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করে। সাসপেনশনের নোটিশ আসার পরেই একাধিক ছাত্র সংগঠন আন্দোলনে নেমে পড়ে। বারংবার উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েও তারা পারেননি বলে অভিযোগ করেন। শেষ পর্যন্ত উপাচার্যকে অন্তরীণ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

অন্যদিকে, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একের পর এক অসন্তোষ শুরু হয়েছে। তার সঙ্গে বিজেপি এবং আরএসএস’র যোগাযোগ আছে বলেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। শুধু শিক্ষার্থীরা নন, শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকরাও তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। উপাচার্য অবশ্য বরাবরই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানিয়ে এবং তার নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন উপাচার্য। তবে প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে সমস্ত তথ্য তিনি জানিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।

সারাবাংলা/একেএম

উপাচার্য টপ নিউজ বিশ্বভারতী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর