ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া-মাসুকুরসহ ৩ জন কারাগারে
২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৩৯
ঢাকা: গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ তিন জনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এসময় আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপর আসামি হলেন- ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহ।
এর আগে, গত ২৩ আগস্ট তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়।
গত ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে এসে আইনজীবীরা মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন এক গ্রাহক। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে বলে উল্লেখ করেন।
এই ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় ভুক্তভোগী তাহেরুল ইসলাম প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে অন্য আসামিরা হলেন- আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের মালিকেরা।
সারাবাংলা/এআই/এমও