Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৪০

বগুড়া: যুমনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী অনেক নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা দূর্গতদের মাঝে সরকারিভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বিভিন্ন স্থানে পানি সিপেছ হওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে জরুরি প্রতিরক্ষামূলক কাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া জানান, সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে বুধবার বিকেল ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৯ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ৯০০ মিটার রৌহাদহ গ্রোয়েন বাঁধের বেশিরভাগ অংশ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ মেইন বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান দিয়ে পানি সিপেছ হওয়ায় বাঁশের পাইলিং এবং বালির বস্তা ফেলে জরুরি প্রতিরক্ষামূলক কাজ করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম জানান, রোপা আমন ১৩৫ হেক্টর, বীজতলা ১২ হেক্টর, সবজি ১০ হেক্টর, মাসকালাই ২০ হেক্টরসহ ১৭৭ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি সদর, হাটশেরপুর, কাজলা, চালুয়াবাড়ি, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা ও কামালপুর এ ৯ ইউনিয়নের ৬৮ গ্রামের ৫০ হাজার ৮০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে এবং বিতরণ অব্যাহত আছে।

বিজ্ঞাপন

এসব এলাকার ১২ হাজার ৭০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও, সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা, তেকানি চুকাইনগর এবং মধুপুর ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চলে আরও কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া ও সোনাতলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন জানিয়েছেন, বন্যার্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

সারাবাংলা/একেএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর