Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এত সম্পদের মালিক সওজ প্রকৌশলীর স্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:২২

ঢাকা: সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের একজন সাবেক প্রকৌশলীর স্ত্রী শাহানা পারভীন। পেশায় গৃহিণী হলেও তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। এমনকি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তার নামে রয়েছে একাধিক প্লট, ফ্ল্যাট এবং দোকান। একজন গৃহিণী হয়েও কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন না প্রশ্ন ওঠায় শাহানা পারভীন ও তার স্বামী সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জুনাইদ আহসান শিবিবের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১ এ কমিশনের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

তিনি জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জুনাইদ আহসান শিবিবের স্ত্রী শাহানা পারভীন। পেশায় তিনি একজন গৃহিণী। তার নামে রয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর আদাবরে ১১.৪৫ কাঠা জমি, খিলগাঁও ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের বনশ্রী প্রকল্পে ১০.৭৪ কাঠা জমি, উত্তরা (তৃতীয় পর্ব) আবাসিক এলাকায় ৫ কাঠার ১টি প্লট, রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার একটি প্লট, এলিফ্যান্ট রোডে ১২৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ও বসুন্ধরা সিটিতে একটি দোকান। এ ছাড়া ধানমন্ডির সোবহানবাগের ২৪০০ বর্গফুটের ১টি ফ্ল্যাট, ময়মনসিংহে ২ তলা বাড়ির ১/৬ অংশ, জামালপুরে ২ তলা বাড়ির ১/৬ অংশ তিনি দানসূত্রে পেয়েছেন। আর অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যবসায় বিনিয়াগে গাড়ি ক্রয়, জীবন বীমায় জমা, সঞ্চয়পত্র ক্রয়, হাতে নগদ ও ব্যাংক স্থিতি বাবদ মোট ৫০ লাখ ৮১ হাজার ২০১ টাকা ও বিয়ের উপহার হিসেবে পাওয়া ৫১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার পেয়েছেন।

তিনি আরও জানান, দুদকের মামলায় শাহানা পারভীনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আর সহায়তাকারী হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জুনাইদ আহসান শিবিব (স্বামী)।

এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার অবৈধ সম্পদের সত্যতা বেরিয়ে আসে। এরপর তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়। ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বরে শাহানা পারভীন ও স্বামী সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেন। সেই সম্পদ বিবরণী যাচাই করে এই বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ পাওয়া গিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে বলা হয়েছে, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্য দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৫ টাকা। এর মধ্যে ৫২ লাখ ১১ হাজার ৯৮২ টাকার বৈধ উৎস পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। অর্থাৎ ১ কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭৮৩ টাকার কোন হিসাব পাওয়া যায়নি। যা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে বিবেচিত।

সারাবাংলা/এসজে/একে

টপ নিউজ দুর্নীতি দমন কমিশন সওজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর