ব্যারেজের গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা
৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৪৭
লালমনিরহাট: জেলার হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প এলাকায় উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার বেশি। পানি নিয়ন্ত্রণে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন র্বোড (পাউবো)।
পাউবো সূত্র জানিয়েছে, ভারি বর্ষণের কারণে ভারত গজলডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দিয়েছে। এতে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিস্তার পানিতে পাটগ্রামের বহুল আলোচিত বিলুপ্ত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চর, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, গোকুন্ডা ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিস্তার সঙ্গে সঙ্গে ছোট নদ-নদীতেও পানি বাড়তে শুরু করেছে। কিছু কিছু স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তীরবর্তী এলাকার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিরাপদ দূরত্বে আশ্রয় নিচ্ছেন।
হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারীর পানিবন্দি মানুষরা জানান, বন্যার পানি নামতে না নামতেই চতুর্থবার আবার পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছেন তারা। তাই দ্রুত তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি করেন তারা।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তা ও ছোট নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। তবে তিস্তার পানি বিকেল থেকে কমে যেতে পারে।
সারাবাংলা/একেএম