মহাসড়ক ব্যবহারে টোল নেওয়ার বিধান রেখে সংসদে বিল
৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:২৭
ঢাকা: মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং টোল আদায়ে সড়ক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নতুন আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ১৯২৫ সালের হাইওয়ে অ্যাক্ট রদ করে মহাসড়ক, নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং অবাধ, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ যান চলাচলের জন্য নতুন আইন করা হচ্ছে। বিলে বলা হয়েছে, এই আইন অমান্য করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দণ্ড হবে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সংক্রান্ত ‘মহাসড়ক বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি চার সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠনো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, আইনের অধীনে গেজেট করে সরকার কোনো সড়ক বা মহাসড়কে কে প্রবেশ করবে বা কে প্রবেশ করবে না তা নির্ধারণ করবে। কোনটা মহাসড়কের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পরিচালনা কেমন করা হবে, কোনগুলো টোল নেওয়া হবে। সরকার বা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি মহাসড়ক উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ, মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট সুয়ারেজ সিস্টেম, ড্রেন, কালভার্ট, সেতু নির্মাণ ও সংস্কার করবে।
খসড়া আইনে বলা হয়, নির্ধারিত মাশুল প্রদান সাপেক্ষে নাগরিক সেবাদানকারী সরকারি, বাধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইউটিলিটি সংযোগগুলো মহাসড়কের প্রান্তসীমা বরাবর স্থাপন করা যাবে। তবে শর্ত থাকে যে, মহাসড়কের উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের সময় প্রয়োজন হলে ওই ইউলিটি সংযোগগুলো সেবাদানকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে নির্দিষ্ট সময়ে অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে স্থানান্তর করবে। প্রতিবন্ধী, শিশু ও বায়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের মহাসড়কে নির্দিষ্ট স্থান ও নিরাপদে ব্যবহারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার বিধান খসড়া আইনে রাখা হয়েছে।
খসড়া আইনে মহাসড়কের ক্ষতি হ্রাস, স্থায়িত্ব, সার্বিক নিরাপত্তা ও যানবাহন চলাচলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে ওভারলোড নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় আইন নির্ধারণ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও