Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আগস্টে বেড়েছে রফতানি আয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৪৮

ঢাকা: সদ্য শেষ হওয়া আগস্ট মাসে ৩৩৮ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। গত বছরের আগস্টে ২৯৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল।

এদিকে, চলতি বছরের আগস্ট মাসে পোশাক খাতে সাড়ে ১১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রফতানি আয় গেল অর্থবছরের চেয়ে কিছুটা কমেছে। এই সময়ে ৬৮৬ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ০.৩১ শতাংশ কম। গত বছরের এই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৬৮৮ কোটি ডলারের পণ্য।

ইপিবির তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) মাসে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৬৮৫ কোটি ৬৫ লাখ (৬.৮৫ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। দুই মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৭৪৪ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ৬৮৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এ হিসাবেই প্রবৃদ্ধি কমেছে ০.৩১ শতাংশ। আর লক্ষ্যের চেয়ে আয় কমেছে ৭.৮৪ শতাংশ।

রফতানির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে ৫৭১ কোটি ২৯ লাখ (৫.৭১ বিলিয়ন) ডলারের তৈরি পোশাক পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা মোট রফতানি আয়ের ৮১.১৬ শতাংশ। তবে গত দুই মাসে তৈরি পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা দুটোই কমেছে।

একক মাস হিসেবে গত আগস্টে তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১.৫৬ শতাংশ। গত দুই মাসে নিট পোশাক রফতানি হয়েছে ৩২৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি কমেছে ১.২৭ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ৬.১৬ শতাংশ। ওভেন পোশাক রফতানি হয়েছে ২৩৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এ খাতে ৮.৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে। ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা কমেছে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘রফতানি কমার একমাত্র কারণ জুলাই মাসে গার্মেন্টস বন্ধ থাকা। অন্য সময় তো নানা কারণে রফতানি কমে, এবার কমেছে শুধুমাত্র গার্মেন্টস বন্ধ থাকার কারণে। বরং আমাদের হাতে এখন প্রচুর অর্ডার আছে। আমরা অনেক অর্ডার পেয়েছি, কিন্তু কাজ করতে পারিনি ওই সময়।’

এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, হস্তশিল্প, টেরিটাওয়েল, হোম টেক্সটাইলের রফতনি আয় বেড়েছে। অন্যদিকে তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং প্রকৌশল পণ্যের রফতানি কমেছে।

করোনা মহামারির মধ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি আয়ের উৎস চামড়া খাতে।

ইপিবির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে ১১৩ কোটি ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা আরও কমে ৭৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে নেমে আসে। সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরের এই খাত থেকে আয় হয়েছে ৯৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসে চামড়া রফতানি থেকে আয় এসেছে ৯ কোটি ৫ লাখ ডলার। এ সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ০.৬৪ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ২.৪২ শতাংশ।

গত দুই মাসে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও বড় প্রবৃদ্ধি করেছে হিমায়িত চিংড়ি রফতানিতে। এ সময়ে হিমায়িত চিংড়ি রফতানি করে বাংলাদেশ ৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার আয় করেছে। রফতানির এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫.৮ শতাংশ কম। এ খাতের লক্ষ্য ছিল ৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
বিভিন্ন কৃষি পণ্য রফতানি করে চলতি অর্থবছরের দুই মাসে বাংলাদেশ ২০ কোটি ৭২ লাখ ডলার আয় করেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬.২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কম অর্জিত হয়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ৯.২৪ শতাংশ।

অন্যদিকে, নতুন অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে পাট রফতানিতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। দুই মাসে পাট রফতানিতে আয় এসেছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। এ হিসাবে এই খাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩৪.৬৬ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ৪৭.৪৩ শতাংশ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

ইপিবি পণ্য রফতানি রফতানি আয়


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর