বিশেষ ফ্লাইটে চীনে ফিরতে চান আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা
৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:০৪
ঢাকা: চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দেশটিতে ফিরে যেতে সরকারের সবধরনের সহযোগিতা চেয়ে মানববন্ধন করেছে। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দেশে ফিরে আসা এসব আটকে পড়া শিক্ষার্থী ফের সে দেশে ফিরে যেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের দাবি, বিশেষ ফ্লাইটে তাদের চীনে পাঠানো হোক। প্রয়োজনে তারা নিজ খরচে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতেও প্রস্তুত।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভয়েস অফ বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইন চায়নার ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন ও বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড ধারণ করেন।
শিক্ষার্থীরা এ সময় ‘উই ওয়ান্ট ব্যাক টু চায়না’ বলে স্লোগান দেয়। ‘ওয়ানলি ফরেন মিনিস্ট্রি ক্যান সেভ আউর ডেস্টেনি’, ‘উই ওয়ানা গো ব্যাক টু চায়না’, ‘এইভাবে জীবন্ত লাশ হয়ে আর বাচতে চাইনা’, ‘শিল্প বাণিজ্য বাঁচিয়ে রাখতে চায়না ছাড়া উপায় নেই’ ও ‘সব ফ্লাইট চালু থাকলে চীনেরটা বন্ধ কেন?’ এমন প্ল্যাকার্ড ধারণ করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী করোনা মহামারির সময় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশে ফিরে আসে। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও দেশে ফেরে। এরপর গত প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও তাদের ফিরে যাওয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, চীনে অধ্যয়নরত ৮ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করে। প্রায় ৬ হাজারের মতো শিক্ষার্থী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চীনের তৈরিকৃত সিনোফার্মের ভ্যাকসিন নিয়েছে এবং বাকি শিক্ষার্থীরাও খুব শিগগিরই ভ্যাকসিনের আওতায় চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমানে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ ল্যাংগুয়েজ, প্রকৌশল, এমবিবিএস ও গবেষণার বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে আসছে। একজন প্রকৌশল শিক্ষার্থীর তাত্ত্বিক পাঠদানের পাশাপাশি ল্যাবরেটরির কাজ, ব্যাবহারিক কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা শুধুমাত্র অনলাইনে দায়সারাভাবে দেওয়া হচ্ছে, যেটা আমাদের শেখার মতো উপযুক্ত নয়। এতে করে আমাদের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশে শিক্ষিত বেকার তৈরি হবে। এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যাটা আরও বেশি প্রকট, ইন্টার্নশিপের সুযোগ না পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ডিগ্রি নিয়ে সংশয়ে আছে।
তারা বলেন, আমাদের ভবিষ্যত এবং অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে আটকে পড়া চীনে অধ্যয়নরত সকল শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এএম