‘আমাদের শক্তি আছে, আমরা আর সহায়তা চাই না’
৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৪৫
ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের শক্তি আছে, আমরা আর সহায়তা চাই না। তবে কেউ যদি সম্মানে আমাদের পাবলিককে সালাম দিয়ে কাজ করে করুক। ছয় বছর কাজ করার পর ডোনাররা আমাদের নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যায়; আর খবর নেই। এগুলো আমাদের অ্যাভয়েড করতে হবে।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেনস এডুকেশনাল (ইউসেপ) বাংলাদেশে ‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ইউসেপের গৌরবময় অভিযাত্রা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এম এ মান্নান বলেন, ‘শুরুতে নানান নীতিমালার কথা বলে ডোনাররা মাঝপথে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যায়। বর্তমানে আমাদের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। মাঝপথে ভাসিয়ে দিয়ে যদি ডোনার আমাদের থেকে বিদায় নেন তাহলেও আমরা পারব। আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়ে চলতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘তাদের(ডোনার) নীতিমালা তারা পরিবর্তন করতেই পারে। তবে শেখ হাসিনা কখনও বলে না যে, উনার নীতিমালা পরিবর্তন করেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মানবিক। আমাদের দেশের দায়িত্বগুলো আমাদেরই বইতে হবে। এটাই আমাদের মূল কথা। আমাদের নিজস্ব সম্পদ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। কাজ করছে বলেই সম্পদ বেড়েছে। বক্তৃতা দিয়ে কোনো সম্পদ সৃষ্টি হয় না। সম্পদ সৃষ্টি করতে হলে কাজ করতে হবে। লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে বলেই সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে। এই সম্পদ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। টেকনিক্যাল শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে।’
শিক্ষা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষার ঘাটতি আছে। এই শিক্ষা দিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেওয়া যাবে না। দেশে সাক্ষরতার হারও সম্মানজনক না। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকিকরণ শুরু হয়ে গেছে। আমরা কৃষিপণ্য বিদেশে পাঠানোর জন্য কাজ করছি। মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ বিদেশে পাঠাব। কারণ আমাদের দক্ষ জনশক্তি আছে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপারসন পারভীন মাহমুদ এফসিএ উল্লেখ করেন যে, ইউসেপ বাংলাদেশ দীর্ঘ ৪৯ বছর যাবৎ বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও যুবাদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইউসেপ বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে।’
নিউজিল্যান্ডের সমাজকর্মী লিন্ডসে অ্যালান চেইনি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউসেপে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষাদান ও তাদের কারিগরি দক্ষতায় দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। সংস্থাাটির কার্যক্রম বর্তমানে বাংলাদেশের ৮টি জেলায় ৫৩টি সাধারণ শিক্ষা ও ১০টি কারিগরি শিক্ষা বিদ্যালয়ের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৪৮ হাজার শিশু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইউসেপে ইউকেএইড, অস্ট্রেলিয়ান সরকার, জার্মান করপোরেশন ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন এক সময় সহায়তা করলেও বর্তমানে বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন পারভীন মাহমুদ। সে কারণে ইউসেপ পরিচালনার জন্য মন্ত্রীর কাছে নতুন নতুন প্রকল্পের আবদার করেন পারভীন মাহমুদ।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম