Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নায়িকা হতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া, তথ্য প্রতিমন্ত্রীর তথ্য

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৫৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো : সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিত্রনায়িকা হতে চেয়েছিলেন বলে তথ্য দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তবে বাবার অমতের কারণে তার চিত্রনায়িকা হওয়ার সাধ পূরণ হয়নি বলেও তথ্য দিয়েছেন তিনি।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। এদিন তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ডিজিটাল নিউজ রুম ও স্টুডিও উদ্বোধন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জন্য বরাদ্দ দেওয়া জায়গা পরিদর্শন করেন।

জিয়াউর রহমান খুন না হলে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না, এমন মন্তব্যের পর প্রসঙ্গক্রমে খালেদার চিত্রনায়িকা হতে চাওয়ার বিষয়টি টানেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার তো চিত্রনায়িকা হওয়ার কথা ছিল। দিনাজপুর থেকে বেগম জিয়া এফডিসিতে আসছে। তার বাবা আবার তারে নিয়ে গেছে। তাকে নায়িকা হতে দেয়নি। এ বেগম জিয়া হইছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী…।’

বেগম জিয়া নিজেই চেয়েছেন তার স্বামী মারা যাক— এমন মন্তব্যও করেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, ‘জিয়া হত্যাকাণ্ড না ঘটলে বেগম জিয়ার স্বাধ পূরণ হতো না। বেগম জিয়া কি কখনো তার স্বামী হত্যার বিচার চেয়েছে? তার পুত্র লন্ডনে বসে… সে কি বিচার চায়?’

‘ও (তারেক রহমান) উল্টো বলতে চায় বাংলাদেশ নাকি দখল করব… খুনি জিয়ার পুত্র কয় বাংলাদেশ নাকি সে দখল করব, বাংলাদেশ নামে নাকি কোনো রাষ্ট্র, জাতিই নাই! এ বাংলার মাটির সন্তান না জিয়া পরিবার… পাকিস্তানের। আমরা তাদের চিনি। এদের দালালি যারা করতেছেন ভালো হয়ে যান, সোজা হয়ে যান। বেগম জিয়া, তারেক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এ দুঃস্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। যারা ওই তালে আছেন তাল ছাইড়া দেন।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খুনের ইতিহাস যারা তৈরি করেছে, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সেসব খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে হয়েছে। যারা ইনডেমিনিটি জারি করেছে সেই খুনি মোস্তাক, জিয়াউর রহমান তাদের বিচার বাংলার মাটিতে এখনও পর্যন্ত হয়নি। আমার দায়িত্ব একটাই- যারা খুনি- বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করেছে, এ জিয়া পরিবারের বিচার বাংলার মাটিতে করতেই হবে- মরণোত্তর বিচার। আর যারা জীবিত এবং দেশ ধ্বংস করেছিল ও এখনও চায় সেই বেগম জিয়া, কুলাঙ্গার তারেক- এদের বিচার এ বাংলার মাটিতে হতেই হবে। আমি ডাক্তার মুরাদের মতো বঙ্গবন্ধু কন্যার সন্তানতুল্য… জীবন দিয়ে হলেও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তাদের মুখোশ উম্মোচন ও বিচার করতেই হবে।’

এ সময় চেয়ারে বসে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা যেন এমন কথা না বলি যাতে প্রধানমন্ত্রী বিব্রত হয়। যার যার চেয়ারে বসে আমরা যেন দায়িত্ব নিয়ে কথা বলি। যার যার দায়িত্ব তাকে তাকে পালন করতে হবে। আমি যেটা বুঝি সেটা করব, যেটা বুঝি না সেটা করব না। যেটা পারি না সেটা করার চেষ্টা যেন আমি না করি। আমি যেখানে বসে আছি সে চেয়ারের নাম কী, সেটা জেনে বুঝে যেন দায়িত্ব পালন করি। অযথা বেশি কথা যেন কেউ না বলি, কাজ যেন একটু বেশি করি।’

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় সোনার মানুষ দরকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করোনি’- এভাবে যেন কেউ না বলে। সোনার মানুষ বাংলাদেশে আছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমাদের সোনার মানুষ হতে হবে। আমরা যারা নিজেদের প্রধানমন্ত্রীর সন্তানতুল্য মনে করি, আমরা জীবন দিয়ে চেষ্টা করব বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরি করতে।’

বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি অনেক ভালো কাজ করেন, আমি জানি। আপনি অনেককে দৌড়ের ওপর রাখছেন। কিন্তু একটা কথা, বেশি ঠেইলেন না। বেশি ঠেললে ফাউল হয়। আপনি আমার কাছে ফাইল পাঠান, দুই বছর নয় মাসে কি কাজ হয়েছে ফাইল পাঠান, আমি একটু দেখি।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রায় ১০ একর জায়গার মধ্যে এক দশমিক ৩০ একর জায়গা বিএফডিসিকে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ১ সেপ্টেম্বর দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি হয়েছে।

বিএফডিসি’র ব্যবস্থপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে বরাদ্দ পাওয়া জায়গায় স্টুডিও, সিনেপ্ল্যাক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

বরাদ্দ দেওয়া জায়গা পরিদর্শনের পর তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমরা বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, বাঙালিয়ানা, বাঙালি জাতির ইতিহাস তুলে ধরতে চাই। সুস্থ ধারার সংষ্কৃতির বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা ওয়েস্টার্ন না… বাংলা ছবি তৈরি করতে হবে বাঙালিদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ধারণ করে। একাত্তরের সেই মুক্তিসংগ্রামের ছবি- ওরা ১১ জন, এবার তোরা মানুষ হও, সূর্য দীঘল বাড়ি, সারেং বৌ এমন ছবি বানাতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শাখার পরিচালক জগদ্বীশ এষ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইসমাইল খান, উপ-পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।

মহিউদ্দিনের কবরে শ্রদ্ধা

এদিকে রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।

নগরীর চশমা হিলে মহিউদ্দিনের কবর জেয়ারত ও মোনাজাত শেষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী একজন সত্যিকারের গণমানুষের নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার নীতি বাস্তবায়নে সোচ্চার ছিলেন। দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে যে অগ্রণী ভুমিকা তিনি পালন করেছেন, তা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।’

এ সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. বিদুৎ বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজিজুর রহমান আজিজ ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/একে

খালেদা খালেদা জিয়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী বিএনপি বিএনপি চেয়ারপারসন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

নড়াইলে মাশরাফিসহ ৯০ জনের নামে মামলা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৪০

সরকারের প্রথম একনেক ১৮ সেপ্টেম্বর
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:১৩

সম্পর্কিত খবর