‘সাইফুর রহমানের হাতেই সামষ্টিক অর্থনীতির সফল বাস্তবায়ন’
৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:০২
ঢাকা: প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের হাতেই দেশে ‘স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনীতি’র সফল বাস্তবায়ন হয়েছে— এমনটিই দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করে সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মনে করেছিলেন যে, আমি যদি এই মানুষটিকে (সাইফুর রহমান) আমার সঙ্গে পাই তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে, ব্যবসা-বাণিজ্যকে নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে এনে দেশটাকে সৃজনশীল অর্থনীতির দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবো।’
পোশাক শিল্পের বহুমুখীকরণে সাইফুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র গার্মেন্টেসে উনি থাকতে চাননি। গার্মেন্টস শিল্পটাকে অনেক সময়ে ব্যঙ্গ করে বলতেন, তুমি শুধুমাত্র দর্জির একটা শিল্প বানাইবা। তিনি চাইতেন যে, এই শিল্প থেকে সারপ্লাস যে ক্যাপটিালটা আসবে, সেই অর্থ দিয়ে বাংলাদেশে ভারি শিল্প তৈরি হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে একটা ম্যানুফেকচারিং কান্ট্রি হিসেবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন। এ কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন ইপিজেডগুলোর মাধ্যমে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এভাবে অনেকগুলো কাজ সাইফুর রহমান করে গেছেন। চরম বিরোধিতার মুখেও তিনি ভ্যাট প্রবর্তন করেছেন। ফলে বাংলাদেশের রাজস্ব আহরণ অনেক অনেকগুণ বেড়ে গেছে। সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এবং নারী শিক্ষার উন্নয়নের মতো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সাইফুর রহমানের ওপর বেগম খালেদা জিয়ার আস্থা ছিল, জিয়াউর রহমানের আস্থা ছিল, গোটা জাতির একটা আস্থা ছিল। তিনি ১২ বার সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেছেন। আজকের বাংলাদেশ রাতারাতি ভালো বাংলাদেশ হয়ে যায়নি।’
‘পার্থক্যটা এখানে যে, তিনি সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট নিতে চাননি, ঋণে আবদ্ধ হতে চাননি, ঋণে ডুবে মরতে চাননি। যে কারণে অত্যন্ত শৃঙ্খলার মধ্যে ধীরে ধীরে আগে খুটিটাকে শক্ত করে দেশের অর্থনীতি উঠাতে চেয়েছেন। সেজন্য স্লো যেতে চেয়েছেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব এম কাইয়ুম চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলু, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জিকে গউস এবং প্রয়াত এম সাইফুর রহমানের ছেলে এম নাসের রহমান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম