স্বজনদের বেঁধে রেখে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করল তালেবান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:১৮
আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় ঘোর প্রদেশের রাজধানী ফিরোজকোহের নিজ বাড়িতে তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠীর গুলিতে বানু নিগার নামে এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে স্বজনদের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) এই হত্যাকাণ্ডের খবর জানা যায়।
এদিকে, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানে নারীর অধিকার এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দেশটিতে নারীর ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কার মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটল।
তবে, এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি তালেবান। মৃত পুলিশ কর্মকর্তার স্বজনরা জানিয়েছেন, স্থানীয় এক তালেবান নেতা বিষয়টি তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, প্রতিহিংসার শিকার হতে পারেন এমন ভয় থেকে স্থানীয় কেউ এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। মৃতের পরিবার সূত্রে বিবিসির হাতে আসা ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে— ঘরের দেয়ালে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। রক্তাক্ত মরদেহের মুখ ক্ষত-বিক্ষত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার আচমকা তিন বন্দুকধারী বানু নিগারের বাড়ি আক্রমণ করে। পরিবারের অন্য সদস্যদের বেঁধে রেখে তাদের সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে।
এর আগে, ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর তালেবান তাদের আগের শাসনামলের তুলনায় কিছুটা নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও; দেশটিতে নারী নিপীড়নের যেসব ঘটনা ঘটছে, তার সঙ্গে প্রতিশ্রুতির কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
পাশাপাশি, তালেবান ক্ষমতায় এসেই আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও বিরোধীদের ওপর প্রতিশোধ নিতে হত্যা, নির্বিচারে বন্দি করে রাখা এবং নানান মাত্রার শাস্তিসহ মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
সারাবাংলা/একেএম