একনেকে ৭৫৯০ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন
৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৩৭
ঢাকা: দক্ষ জনশক্তি তৈরিসহ ৮ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। বিশ্বব্যাংকের ঋণে দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৩০০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। আর সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫৮৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
ব্রিফিংয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘যুবসমাজ, নারী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থানের উপযোগী ও চাহিদাভিত্তিক কর্মীবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। অনাবাসিক ভবন, ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ, প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণ অনুদান, প্রকল্প অনুদান, কনসালটেন্সি, সেমিনার ও কনফারেন্স, আইসিটি সরঞ্জাম, কম্পিউটার সামগ্রী ক্রয়, অফিস সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র, অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্রয়, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ সেক্টরে কোভিড-১৯ মোকাবিলা সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টিতে সহায়তা দেওয়া হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এবং আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ পরিকল্পনা কমিশনের অন্য সদস্যরা।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে
পৌরসভায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। হিলি, বুড়িমারি ও বাংলাবান্ধা এলসি স্টেশনের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভুমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার রংপুর স্থাপন প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বৃহত্তর বরিশাল, ফরিদপুর অঞ্চলে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদী হতে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নম্বর ১৫ পুনর্বাসন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০ কোটি ৪২ লাখ ৯২ হাজার টাকা। আরেকটি প্রকল্প হলো- এক্সসিলারেটিং অ্যান্ড স্ট্রেনথদেনিং স্কিলস ফর ইকনোমিক ট্রান্সফারমেশন প্রকল্প।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম