এসএমই খাতে বিশেষায়িত ব্যাংক স্থাপন জরুরি
৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:২৭
ঢাকা: কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের বিকাশে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ঋণ দেওয়ায় কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। এ খাতের বিকাশে বিশেষায়িত ব্যাংক স্থাপন ও এসএসই ডাটাবেইজ প্রণয়ন করতে হবে। সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তাবায়ন এবং সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের দেওয়া ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল লোনকে টার্ম লোন হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘এসএমই প্রণোদনা প্যাকেজ হতে ঋণ প্রাপ্তির পদ্ধতি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান মতিবিনিময় সভায় অংশ নেন।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘শিল্পখাতে ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ৪৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে সিএমএসএমই খাত। তবে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও নীতিগত সহায়তার অভাবে সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতার পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় দেশে দীর্ঘমেয়াদে ছুটি এবং লকডাউনের ফলে সিএমএসএমই খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং স্থানীয় এক গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে এসএমই খাতে সামগ্রিকভাবে আয় কমেছে প্রায় ৬৬ শতাংশ এবং প্রায় ৭৬ শতাংশ উৎপাদিত পণ্য অবিক্রিত থেকে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন, জামানতের অভাব এবং প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ দেওয়ায় ব্যাংকের অনাগ্রহ এবং ঋণ বিতরণে ধীর গতি এ কার্যক্রমকে আরও দীর্ঘায়িত করছে। ফলে এসএমইখাতের উদ্যোক্তারা নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচেছন। ঢাকা চেম্বারে সভাপতি জানান, সিএমএসএমই খাতের সুনির্দিষ্ট কোনো ডাটাবেইজ না থাকায় এ খাতের সঠিক অবস্থা জানা সম্ভব হচ্ছে না।’
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রথম থেকেই এসএমই কাজ করছে। এর পাশাপাশি এ খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার বাস্তবায়নে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।’ সেইসঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর উপর জোরারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য এখাতের উদ্যোক্তাদের অবশ্যই দেশের বিদ্যমান আইনি ও আর্থিক কাঠামোর সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। দেশের উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতে ঋণ প্রদানে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম