পোশাক শ্রমিকদের জন্য ভ্যাকসিন কিনতে কিক্’র অনুদান
৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:১৯
ঢাকা: বিখ্যাত জার্মান ব্র্যান্ড ‘কিক্’ বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কেনার জন্য অনুদান দিয়েছে। কিক্ বিজিএমইএ’র মাধ্যমে এই অনুদান দিয়েছে, যা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। কারণ সরকারের দায়িত্বে ভ্যাকসিন ক্রয় ও বিতরণ হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমই’র পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে কিক্ তার সামাজিক দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে এই অনুদান দিয়েছে। কিক্ বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনা ছাড়াও অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের সামাজিক প্রকল্পগুলোর সঙ্গে যুক্ত আছে। তারা বাংলাদেশে বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানও প্রতিষ্ঠা করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কিক্ এর সিইও প্যাট্রিক যাহন বলেন, ‘আমাদের বহু বছরের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ফল হিসেবে আমরা দেশটিতে, বিশেষ করে দেশটির পোশাক শিল্পে করোনা মহামারির প্রভাব নিয়ে অত্যন্ত সচেতন রয়েছি। এই শিল্পে কর্মীরা আবদ্ধ স্থানে (ইনডোর) কাজ করে, যেখানে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। আমি মনে করি, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা দিতে পারে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের এই অনুদান দিয়ে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কর্মীদেরকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সবচেয়ে ভালো পন্থায় সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চাই।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান জার্মান ব্র্যান্ডের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে অবদান রাখছে। করোনা মহামারির প্রভাবে এই খাতটি ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং এই ক্ষতি এখনও সামলে উঠতে পারেনি। দেশের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের ভ্যাকসিন পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। জার্মান কোম্পানি কিক্’কে এই মহৎ অনুদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তাদের এই অনুদান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ভ্যাকসিন প্রদানে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
এর আগে, বিজিএমইএ পোশাক শ্রমিকদের অর্থনীতির সম্মুখসারির যোদ্ধা বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে আনার জন্য সরকারে কাছে অনুরোধ জানান। এর ফলে বাংলাদেশ সরকার চলতি বছরের জুলাইয়ে পোশাক শ্রমিকদের জন্য ভ্যাসিনেশন কর্মসূচি শুরু করে, যা এখনও চলমান রয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম