Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কলেজছাত্রীকে যৌন হয়রানি, চাপ প্রয়োগ করে সমঝোতা করানোর অভিযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৫৩

ঢাকা: খুলনার সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে কলেজে যাওয়ার পথে যৌন হয়রানির পর মারধরের অভিযোগ করেছে তার পরিবার। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার বলছে, এ ঘটনায় থানা থেকে মামলা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে সমঝোতার একটি কাগজে তাদের সই করতে বাধ্য করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছে পরিবারটি।

খুলনার খালিশপুর পিপলস কলোনি এলাকায় ওই শিক্ষার্থী তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। যৌন হয়রানির ঘটনায় রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষার্থীর মা খালিশপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।

বিজ্ঞাপন

মায়ের অভিযোগ, মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি থানায়। বরং ‘প্রভাবশালী’ মহল থেকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহার করে সমঝোতার জন্য একটি সাদা কাগজে তাদের সই করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ না করতেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা জানান, একই এলাকার মো. রেজাউল ইসলামের ছেলে দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজের শিক্ষার্থী সৌরভ আহমেদ হৃদয় দীর্ঘ দিন ধরে ওই শিক্ষার্থীকে কলেজে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছেন। রোববার বিষয়টি ভুক্তভোগীর পরিবার অবহিত করেন স্থানীয় ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সরদার আলী আহমেদকে। তিনি অভিযুক্তকে ডেকে বিষয়টি জানতে চান। সেখানে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে অভিযুক্ত হৃদয়ের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মারধরও করেন হৃদয়।

পরে রোববারই খালিশপুর থানায় অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থীর মা। তিনি বলেন, ঘটনাটি এখন মীমাংসা করে দেওয়ার নামে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ওরা আমাকে তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন অসহায় পড়েছি। আমি আমার মেয়ের যৌন হয়রানির বিচার চাই।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আলী আহমেদ বলেন, অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী পরিবারের বসবাস একই এলাকায়। ছেলে-মেয়ে দু’জনের বয়সই কম। এ কারণে আমরা বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করছি। একইসঙ্গে ছেলের পরিবারকে বাসা পরিবর্তন করতে বলেছি।

জানতে চাইলে খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’ এখন পর্যন্ত মামলা নথিভুক্ত না হওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘একজন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর রাতেই অভিযোগ প্রত্যাহার করিয়ে সাদা কাগজে সমঝোতার জন্য সই নেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপকমিশনার বলেন, ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে সমঝোতার সুযোগ নেই।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

কলেজছাত্রীকে যৌন হয়রানি চাপ প্রয়োগে সমঝোতা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর