Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ দেওয়ার সুপারিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:০৪

ঢাকা: একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সরকারঘোষিত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা যেন নির্বিঘ্নে গ্রহণ করতে পারেন, সে জন্য প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ, ডিজিটাল পরিচয়পত্র ও মেডেল প্রদানের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পদক সংখ্যা বাড়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২১তম বৈঠকে এ সুপারিশ ও পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক.ম মোজাম্মেল হক, রাজিউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এ বি তাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ ও ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল অংশ নেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট আইটি কার্ড, ডিজিটাল সনদ এবং মেডেল দেxয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মেডেলটা যে ধাতুরই হোক, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তারা একটি মেডেল পাবেন। এটির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

শাজাহান খান বলেন, ‘সরকার মুক্তিযুদ্ধ পদকের জন্য সাতটি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করেছে। আমরা এ সংখ্যাটা বাড়াতে বলেছি।’

তিনি জানান, ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে যেন পদক দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করতে বলেছে কমিটি।

গত ৯ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ পদকের কথা জানায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি ও সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মানিত করতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ চালু করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সাতটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য দেওয়া হবে এ পুরস্কার। এগুলো হচ্ছে- স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনে ভূমিকা, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, মুক্তিযুদ্ধ/ স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা, মুক্তিযুদ্ধ-ভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ।

এ ছাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ক্ষেত্রে এ পদক দেওয়া হবে। প্রতি বছর ১৫ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হবে। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম সোনার পদকের সঙ্গে একটি রেপ্লিকা এবং দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে।

এদিকে বৈঠকে সব মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অফিসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উঠানামার কষ্ট কমাতে মন্ত্রণালয়কে কমপ্লেক্সে লিফট/ক্যাপসুল লিফট স্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ পদক মুক্তিযোদ্ধা মেডেল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর