Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪৯ ‘গায়েবি’ মামলার তিন বাদীসহ ২০ জনের সন্ধান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:২২

ফাইল ছবি

ঢাকা: রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা অর্ধশত ‘গায়েবি’ মামলার তিন বাদী ও সাক্ষীসহ ২০ জনের ঠিকানা ও পরিচয় খুঁজে পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

তারা চারটি মামলার বাদী ও ১১টি মামলায় সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন বলে সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মামলাগুলোর তিন বাদী হলেন— শাখারুল কবীর ওরফে ইকবাল, ফারুকুর রহমান, মো. মফিজুল ইসলাম ওরফে জামাই মফিজ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের আইনজীবী এমাদুল হক বসির সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হাইকোর্টে জমা দেওয়া সিআইডি’র একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাখারুল একটি মামলার বাদী ও তিনটি মামলার সাক্ষী। ফারুকুর রহমান একটি মামলার বাদী ও সাতটি মামলার সাক্ষী। এছাড়া মফিজুল দু’টি মামলার বাদী ও একটি মামলার সাক্ষী। এছাড়া আরও অন্তত ২০ জন ব্যক্তি গায়েবি এসব মামলার সঙ্গে জড়িত বলেও উল্লেখ করেছে সিআইডি।

আইনজীবী এমাদুল হক বসির জানান, সিআইডির এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন হাইকোর্ট এসে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে আগামী রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

হাইকোর্টে আসা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিট আবেদনকারীর বিরুদ্ধে ঢাকার ভেতরে ও বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৪৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি জিআর মামলা ও ২৬টি সিআর মামলা। এর মধ্যে ৩৫টি মামলা থেকে আসামি একরামুল আহসান কাঞ্চন খালাস পেয়েছেন। খালাস পাওয়া মামলাগুলোর মধ্যে ১৫টি জিআর ও ২০টি সিআর। বাকি ১৪টি মামলা বিচারাধীন।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, বিচার চলমান থাকা মামলাগুলোর মধ্যে আটটি জিআর ও ছয়টি সিআর মামলা। এ ছাড়াও রিট পিটিশনে পক্ষভুক্ত ২০ জন ব্যক্তিসহ আরও অনেকের তথ্য পাওয়া গেছে। তারা হাইকোর্টে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় বাদী ও সাক্ষীর ভূমিকায় রয়েছেন।

এর আগে, গত ১৪ জুন গায়েবি মামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তারই আলোকে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রতন কৃষ্ণ নাথের সই করা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।

ওই দিন হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছিল, থানায় বা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করলে অভিযোগ দায়েরকারীর ন্যাশনাল আইডিকার্ড (এনআইডি) দেওয়া বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে রুল জারির পাশাপাশি ৬০ দিনের মধ্যে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্তিত্বহীন বাদীর করা ৪৯ মামলার ঘটনা তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

গত ১৪ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ওই দিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এমাদুল হক বসির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও অরবিন্দ কুমার রায়।

রিটকারীর আইনজীবী জানান, দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন অভিযোগে একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ৪৯টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় তিনি এক হাজার ৪৬৫ দিন জেলে খেটেছেন। কিন্তু একটি মামলারও বাদীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন একরামুল আহসান।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (সিআিইড), র‌্যাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর