‘সানোফি বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র’
৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৩৭
ঢাকা: ফ্রান্সভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সানোফি বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল এনার্জি এন্ড এলাইড ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কুতুব উদ্দিন।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ইকোনোমিক্স রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে সানোফি বাংলাদেশ লি. ওয়ার্কার্স-এমপ্লোয়িজ এসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওয়ার্কার্স রিসোর্স সেন্টারের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন।
তিনি বলেন, সানোফি বাংলাদেশে যে বিনিয়োগ করেছিল, তা এফডিআই অর্থাৎ ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট। দীর্ঘ ৬৩ বছর ধরে তারা এদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ তৈরি করে আসছিল। এ কোম্পানী সবসময়ই লাভজনক। এখনও লাভজনক। তাদের চলে যাওয়ার কোনো কারণই নেই। কিন্তু তারা বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছে খোড়া যুক্তিতে। এদের ঠেকানোর দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার কি করছে? আমরা উৎপাদনশীল দেশ থেকে কেন মার্কেটিংয়ের দেশে পরিণত হব?
তিনি আরও বলেন, এর আগে আমাদের দেশ থেকে জার্মান ভিত্তিক ওষুধ কোম্পানী গ্ল্যাক্সো চলে গেছে। এবার সানোফি চলে যাচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র।
কুতুব উদ্দিন বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে না দেয়ায় এ কোম্পানীর বিরুদ্ধে মোট ৫৮টি মামলা আদালতে বিচারাধীন। এসব মামলা নিস্পত্তি না করে তারা যেমন আইন অনুযায়ী যেতে পারে না, তেমনি সরকারও যেতে দিতে পারে না। অথচ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের চলে যাওয়ার বিষয়ে ইতোমধ্যেই এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দিয়েছে। আদালতের বিচারাধীন বিষয়কে এনওসি দেয়া আদালত অবমাননা। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ভবিষ্যতে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গ্ল্যাক্সো বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওষুধ তৈরি করতো। কিন্তু তারা আমাদের দেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ভারতে চলে গেল। এখন ভারত ওষুধ তৈরি করে আমাদের দেশে বাজারজাত করে। আমরা তা কিনে খাই। সানোফিও বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতেই চলে যাচ্ছে। সরকার তাদের বিনা বাধায় চলে যেতে দেবে তা হতে পারে না।
সারাবাংলা/এসবি