পার্থ গোপাল বণিকের জামিন, বিচারকের কর্মকাণ্ড লজ্জাজনক
১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:১৪
ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় সাময়িক বরখাস্ত কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিককে খাস কামরায় জামিন দেওয়া এবং অতি গোপনে জামিন আদেশ কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় বিচারকের কর্মকাণ্ডকে লজ্জাজনক বলেছেন হাইকোর্ট।
পার্থ গোপাল বণিককে অস্বাভাবিকভাবে জামিন দেওয়া বিচারক প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেছেন, জেলা জজ পর্যায়ের একজন বিচারকের এ ধরনের আচরণ ও কাজ অপ্রত্যাশিত লজ্জাজনক। তাকে জামিন দেওয়া আদালত অবমাননার সামিল।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের এই রায় প্রকাশিত হয়েছে। ওই রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। হাইকোর্টের ১২ পৃষ্ঠার ওই রায়টি আজ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেছেন, আমাদের বলতে দ্বিধা নেই যে জেলা জজ পর্যায়ের একজন বিচারকের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ ও কর্ম প্রত্যাশিত নয়। তার এ ধরনের আদেশ উচ্চ আদালতের প্রতি অবজ্ঞা এবং যা আদালত অবমাননার শামিল। হাইকোর্ট বিভাগ ইতোপূর্বে আসামির জামিন নাকচ করে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিজ্ঞ বিচারক আসামিকে জামিন প্রদান করে হাইকোর্টের আদেশকে অবজ্ঞা করেছেন।
গত ১৭ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫–এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত পার্থ গোপাল বণিককে ১৫ জুলাই পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর তিনি কারামুক্ত হন।
পরে ওই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। এরপর ২ সেপ্টেম্বর পার্থ গোপাল বণিককে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল করে তাকে আগামী ২০ সেপ্টম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৯ জুলাই মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৩ আগস্ট পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি পার্থ গোপাল বণিক গত বছরের ২৮ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে অনুসন্ধান টিমের কাছে বক্তব্য দেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পার্থ গোপাল বণিক জানান, তাঁর বাসায় ৩০ লাখ টাকা আছে। এই টাকার বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। পরে অভিযান চালিয়ে তার বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম