মাউশিতে প্রতিদিন তথ্য পাঠাতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে
১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৩৫ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:১৫
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে করোনা ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ রোধে ১৪টি নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের একটি চেকলিস্টও তৈরি করা হয়েছে। স্কুল-কলেজ চালুর পর এসব স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি না, তা চেকলিস্ট হালনাগাদ করার মাধ্যমে প্রতিদিন অবহিত করতে হবে মাউশিকে।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজগুলো প্রতিদিন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ সংক্রান্ত তথ্যগুলো মাউশির কাছে পাঠাবে। গুগল ডকসের মাধ্যমে তাদের এসব তথ্য পাঠাতে হবে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করা জন্য একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ওই নির্দেশনা ও করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করার লক্ষ্যে একটি মনিটরিং চেকলিস্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। এই চেকলিস্টের তথ্যগুলো গুগল ডকসের মাধ্যমে প্রতিদন বেলা ৩টার মধ্যে প্রদান করতে হবে।
সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রতিদিন নিজ প্রতিষ্ঠানের তথ্য গুগল ডকসের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে। গুগল ডকে তথ্য প্রদানের ঠিকানা- https://tinyurl.com/dshe-school-reopen
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠার খোলার ক্ষেত্রে করোনা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে ১৪টি নির্দেশনা জারি করে মাউশি। নির্দেশনাগুলো হলো-
১.সকল সমাবেশ স্থানসমূহ (ক্যাফেটেরিয়া, ডাইনিং, টিভি/স্পোর্টস রুম ইত্যাদি) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। রান্নাঘর থেকে রুমসমূহে সরাসরি খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. একাধিক শিক্ষার্থী একই বিছানা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে।
৩. একইসঙ্গে নামাজ, প্রার্থনা ও সমাবেশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশনা মেনে চলবে।
৪. আবাসিক শিক্ষার্থীরা হোস্টেলে ওঠার পূর্বে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। আর পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলেই শিক্ষার্থীরা হোস্টেলে ফিরতে পারবে।
৫. হোস্টেলে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
৬. হোস্টেল, বাথরুম, টয়লেট, বেসিন ও ড্রেন প্রতিদিন জীবাণুমুক্ত করে রাখতে হবে।
৭. বাথরুম ও ফ্লোর শুকনো থাকবে।
৮. সবাই ব্যক্তিগত সাবান ও তোয়ালে ব্যবহার করবে। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত লকার, অন্যান্য জিনিসিপত্র পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
৯. ডাইনিং রুমের টেবিল, গ্লাস, প্লেট, চামচ ও জগসহ অন্যান্য জিনিস সব সময় পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
১০. হোস্টেলের খাবর পানি ও খাদ্য সামগ্রী নিরাপদ রাখতে হবে।
১১. দিনে ও রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।
১২. ডেঙ্গুর সংক্রমণ ও এডিস মশা বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
১৩. একজন ব্যক্তির ব্যবহার সামগ্রী অপর ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবে না।
১৪. আবাসিক শিক্ষার্থী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারী ব্যতীত অন্য কেউ হোস্টেলে অবস্থান বা যাতায়াত করতে পারবে না।
সারাবাংলা/এনএস