৭৫ পরবর্তী সময়ে বরেণ্য ব্যক্তিদের সম্মান ছিল না: নৌ প্রতিমন্ত্রী
১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৪০
ঢাকা: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের কোনো সম্মান ছিল না। সে সময় তাদের সম্মানকে ক্রয়-বিক্রয় করা হতো। ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার পুঁজি হিসেবে তাদের ব্যবহার করা হতো। ওই জায়গা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আলোর দিশারী হিসেবে কাজ করছেন।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ সংগঠন ‘নাট্যসভা’ আয়োজিত দেশবরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল লোহানী, কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন, অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরী, অভিনেতা এস এম মহসীন ও গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর এর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ অত্যন্ত মেধাবী একটা দেশ। আমাদের শুধু প্রয়োজন পথ দেখানো। সেই পথটা বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছেন। তিনি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়েছেন। সেই সার্বভৌম বাংলাদেশকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্য তিনি কর্মসূচি দিয়েছিলেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যার মধ্যদিয়ে আমরা অন্ধকারে চলে গিয়েছিলাম।’
বরণীয় এসব ব্যক্তিদের স্মরণীয় করে রাখতে তাদের জীবনী পুস্তিকা আকারে প্রকাশের প্রস্তাব রেখে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এই মানুষগুলোর জীবনী প্রকাশিত হয় না। সে কারণে পরবর্তী প্রজন্ম এ মানুষগুলো সম্পর্কে জানতে পারছে না। শুধু সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীর না; আমাদের রাজনীতিবিদরা, তাদেরও কিন্তু অনেক বর্ণাঢ্য জীবন। কঠিন জীবন। সেগুলোও কিন্তু আমরা সেভাবে পাই না। মরে যাওয়ার পর শেষ হয়ে যায়। একটা স্মরণ সভা করে আমরা মনে করলাম আমাদের দায়িত্ব শেষ। কিন্তু প্রকাশনা থাকলে তার যে দীর্ঘ জীবন, সেই জীবনের যে ধারাবাহিকতা সেগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানতে পারবে। নিজেকে সেভাবে তৈরি করার আগ্রহ তৈরি হবে। সে জায়গাটায় কিন্তু আমাদের অনেক দুর্বলতা রয়ে গেছে।’
‘আশা করি এ দুর্বলতা আমরা কাটিয়ে উঠব। আমরা এ পথে চলতে পারলে নিশ্চয়ই বরেণ্য ব্যক্তিরা আমাদের মধ্যে থাকবেন। তাদের কর্ম নিয়ে যদি আমরা সামনে এগুতে পারি তাহলে বরেণ্য ব্যক্তিদের প্রকৃত সম্মান আমরা দেখাতে পারব’- বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বক্তব্যকালে প্রয়াত ড. আনিসুজ্জামান, কামাল লোহানী, রাবেয়া খাতুন, সারাহ বেগম কবরী, এস এম মহসীন ও ফকির আলমগীর এর সঙ্গে থাকা নিজের ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তারা বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হবে। সত্যি আমরা আজকে সোনার বাংলার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাচ্ছি।’
নাট্যসভা সংগঠনের চেয়ারম্যান শহীদুল হক খান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্য্যে বক্তব্য রাখেন প্রয়াত ফকির আলমগীর পত্নী সুরাইয়া আলমগীর বনলক্ষী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব আব্দুস সামাদ, নাট্য ব্যক্তিত্ব ম হামিদ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চলচ্চিত্র পরিচালক ছটকু আহমেদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা এবং চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাস।
সারাবাংলা/একে
খালিদ মাহমুদ জাতির পিতা নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড