খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধা কোথায়: জাফরুল্লাহ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:১৪ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:১২
ঢাকা: বিচারপতিদের উদ্দেশে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি। দেশের প্রচলিত আইনের তার জামিন পাওয়ার সব অধিকার রয়েছে। কিন্তু বিচারপতিরা কেন তাকে মুক্তি দিচ্ছেন না। খালেদা জিয়াকে মুক্তিতে বাধা কোথায়? খালেদা জিয়ার সঙ্গে আপনাদের আচরন জনগণ মনে রাখবে। মনে রাখবেন একদিন আপনাদের বিচার হবে, সেই বিচার হবে রাজপথে, লুকিয়েও পালাতে পারবেন না।’
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আয়োজিত “নির্বাসিত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শর্তহীন মুক্তির দাবিতে’ মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
জাগপা সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের সঞ্চালানায় বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সম্পাদক ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, সাইফুল আলম, ঢাকা মহানগর সভাপতি মেহাম্মদ হোসেন মোবারক, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনসুর আহমেদ, যুব জাগপা’র আহ্বায়ক মীর আমীর হোসেন আমু, সদস্য সচিব ইসহাক হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব মামুনুল হক প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আওয়ামী লীগের জন্য আতঙ্কের নাম। বাংলাদেশের জনগণের ভরসা ও আস্থার প্রতীক তিনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্য একটি আতঙ্কের নাম জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া। তাই তাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যাচারে লিপ্ত হচ্ছে। সংগ্রামের পথিকৃত শফিউল আলম প্রধানের প্রদর্শিত পথে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ‘ঈমান, সাহস ও সততায় বলীয়ান হয়ে’ রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
জাগপা সাধারন সম্পাদক এস এম শাহাদাত বলেন, ‘এ অবৈধ সরকার গুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, সন্ত্রাস চালিয়ে রাষ্ট্রে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। এ জন্য তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রাইভেট বাহিনীতে পরিণত করে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রিত করেছে। স্বাধীনভাবে রাজনীতি যেন এখন অতীত ইতিহাস। মানুষের জানমাল ও চলাচলে কোনো স্বাধীনতা নেই, কোনো নিরাপত্তা নেই।’
সারাবাংলা/একে