Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নারী কর্তৃক ৭০ শতাংশ বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ খুঁজতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৫৫

ঢাকা: করোনাকালের গত দেড় বছরে যৌতুকসহ পারিবারিক সহিংসতা এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে নারী কর্তৃক ৭০ শতাংশ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। এমন ঘটনার পেছনের কারণ খুঁজে বের করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, `বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজড করার মধ্য দিয়ে বিগত দেড় বছর আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেবা প্রদান করেছি। এ ক্ষেত্রে লিগ্যাল এইড প্রযুক্তির ব্যবহার করে অনেককে আইনি সহায়তা দিয়েছে। তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনি সহায়তার বিষয়ে আমাদের আরও অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এসব কাটিয়ে উঠে আমাদের লিগ্যাল এইড প্রদানের জন্য প্রযুক্তির প্রসার বাড়াতে লক্ষ্য রাখতে হবে। করোনাকালে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রযুক্তির ব্যবহার করে যে লিগ্যাল এইড সুবিধা দেওয়া হয়েছে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরে সমৃদ্ধ হলাম যে, করোনায় গত দেড় বছরে কী ধরনের পারিবারিক সহিংসতা ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়েও ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে। দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসামঞ্জস্যতার কারণে মানুষের দারিদ্র্যতা বেড়েছে। আয় কমেছে, এ জন্য পারিবারিক সহিংসতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দেড় বছরে যৌতুকসহ পারিবারিক সহিংসতা এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী কর্তৃক বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। এর পেছনের কারণ খুঁজে বের করা প্রয়োজন। জাতীয় লিগ্যাল এইড এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

জাতীয় লিগ্যাল এইডের কর্মক্ষেত্রের পরিধি বাড়ানোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘স্বামী পরিত্যক্তা বা ধর্ষণের শিকার ভিকটিমদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমাদের এখনো অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীকে সঙ্গে সঙ্গে সহযোগিতা না করার ফলে অনেক সাক্ষ্য নষ্ট হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাদের দ্রুত মেডিকেল সুবিধা প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’

আইনি সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইডকে দেশের উপজেলা ও থানা পর্যায়ের যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এভাবে নিজেদের পরিসেবা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে তাদেরকে আইনি সেবা দিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের এই বিচারক।

ওয়েবিনারে অন্যান্যদের মধ্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার লিগ্যাল এইড অফিস অফিসারেরা বক্তব্য দেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

ইনায়েতুর রহিম বিচারপতি লিগ্যাল এইড সুপ্রিম কোর্ট

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর