নোবিপ্রবিতে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য চিকিৎসক ৩ জন

ঢাকা: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সেবা দিতে মাত্র তিন জন নারী চিকিৎসক কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। চাহিদা মতো চিকিৎসাসেবা দিতে না পারায় শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার। নেই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও নিয়মিত কাউন্সিলিং প্রোগ্রামের কোনো ব্যবস্থা।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিভিন্ন সময়ে অসুস্থ হলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় সেবা নিতে এসে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। থাকেন না চিকিৎসক। সেবার মান বাড়াতে আরও চিকিৎসক নিয়োগ দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের মেডিকেল সেন্টারের যন্ত্রপাতিগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় না। আর প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার জন্য গেলে যখন সাধারণ ওষুধগুলোও পাওয়া না যায়।’

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার পর অল্প মূল্যের কিছু ওষুধ ছাড়া কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। নেই গুরুত্বপূর্ণ কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম।’ এমনকি মেডিকেল সেন্টারের ওজন মাপার যন্ত্রের সঠিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, নিউরোলজিস্ট ও চক্ষু চিকিৎসকসহ ভালোমানের দক্ষ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়াসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন প্রকার প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম, সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও অন্তত ১০-১৫টি শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থা করা। এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও নিয়মিত কাউন্সিলিং প্রোগ্রাম চালু করার জোরালো দাবি জানান তারা।

বর্তমান মেডিকেল অফিসার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে ৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আরও চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া মেডিকেলের চিকিৎসা কার্যক্রম আরও ভালো করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরুষ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমাদের মাথায় রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমরা এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরাও ভাবতেছি। দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকায় নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। মেডিকেলের জন্য নতুন ভবন করা হয়েছে এবং সেখানে এটি স্থানান্তর করা হয়েছে।’ এছাড়া শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এমও

চিকিৎসক টপ নিউজ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী