বেরোবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী জখমের ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:০৫
রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ছিনতাইয়ের ঘটনার আনন্দ নামের এক হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ২টায় নগরীর স্টেশন সংলগ্ন বাবুপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান প্রধান।
এ নিয়ে মোট দুজনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত আরও একজনকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এর আগে, গতকাল বিকেল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে চাপাতি দিয়ে জখম করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় দুটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার মূল হোতা রিফাত হোসেন আলিফকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ছিনতাই করা দুটো মোবাইল ফোন, ছিনতাইয়ে ব্যবহার করা চাপাতিসহ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর শনিবার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এক প্রেসব্রিফিং করে। ব্রিফিংয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘নেশার টাকার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করে ছিনতাইকারীরা। তাদের একমাত্র রুটি-রুজির পথ ছিনতাই করা।’
এর আগে, শুক্রবার রাত আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সিদ্দিক পরাগকে গ্রেফতার হওয়া আলিফসহ আরও দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি পথরোধ করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে এতে পরাগ বাধা দেয়। এরপর ছিনতাইকারীরা চাপাতি দিয়ে পরাগের বাম হাত জখম করে।
পরে ভোর সাড়ে ৫টায় ছিনতাইকারী আলিফসহ আরও একজন মিলে নগরীর কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামানকে চাপাতি কুপিয়ে জখম করে মোবাইল ও টাকা নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, চাপাতির আঘাতে জখম শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সিদ্দিক পরাগ বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং শিক্ষক মনিরুজ্জামান রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সারাবাংলা/একে