রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নারীসহ ২ জনের মৃত্যু
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৫৩
ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নারীসহ দুইজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১২সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতরা হলেন- যাত্রাবাড়ীর শেখদির মাসুদ মোল্লা (৪০) ও কামরাঙ্গীরচড়ের গৃহবধূ শুভ তারা (২৬)। মাসুদ স্থানীয় এক ফ্যান ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মনিষ ঘোষ জানান, খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শেখদির মাসুদ মোল্লাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, মৃত মাসুদের মাথায় মানসিক সমস্যা ছিল। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে তিনি নিজেই তার মাথায় আঘাত করেন। পুরাতন আঘাতের জায়গায় সেলাই করা রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মৃত মাসুদের ছোট ভাই মো. মাহমুদ মোল্লা জানান, তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টঙ্গীপাড়া উপজেলার বোরনি গ্রামে। বাবার নাম বাদশা মোল্লা। দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিস আক্তারকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী শেখদি পশ্চিমপাড়ার একটি টিনসেড বাড়িতে ভাড়া থাকত। ধনিয়ায় একটি ফ্যান ফ্যাক্টরিতে চাকরি করত মাসুদ।
মাহমুদ আরও জানায়, মাসুদের প্রথম স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকেন। সেই সংসারে তার দুই সন্তান রয়েছে। আর গত তিনমাস আগে দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিসকে বিয়ে করে সে। তাকে নিয়ে যাত্রাবাড়ীর ওই বাসায় থাকত মাসুদ। আজ (রোববার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুনতে পাই, তার স্ত্রী কাপড় শুকাতে বাসার বাইরে যায়। এ সময় রুমের দরজা আটকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মাসুদ। তবে আসলে কি ঘটনা ঘটেছে তা বলতে পারছি না। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হত। গতকাল তার স্ত্রী এলাকার লোকজন দিয়ে তাকে মারধর করেছিল। এতে তার মাথা ফেটে যাওয়ায় হাসপাতাল থেকে মাথায় সেলাইও করিয়েছে।
এদিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচড়ে কীটনাশক পান করে শুভ তারা নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের দেবর সানোয়ার হোসেন জানায়, কামরাঙ্গীরচড় বড়গ্রাম এলাকার হোসেন কমিশনারের বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত শুভ তারা। তার স্বামী দোলোয়ার হোসেন নিউ সুপার মার্কেটে একটি দোকানে চাকরি করেন। তাদের ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
সানোয়ার হোসেন আরও জানান, সকাল ৯টার দিকে বাসায় গোপনে কীটনাশক পান করে শুভ তারা। পরে তাকে বমি করতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে শুভ তারা কিটনাশন পান করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি স্বজনরা।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া শুভ তারার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/এনএস