Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উত্তরায় ছাত্রাবাসে স্কুল শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:২০

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রাবাসে আবির হোসেন খান (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আধুনিক হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মৃত আবির হোসেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আমতলী এলাকার মো. ফজলুর রহমান খানের ছেলে আবির। সে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লাল মিয়া মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আবিরের মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির কালো দাগ রয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) তিনি জানান, আবির মোবাইল গেমসে আসক্ত ছিল। আজকে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে। এ কারণে গতকাল (শনিবার) দুপুরের পরে আবিরের বাবা তাকে ছাত্র হোস্টেলে দিয়ে যান। বিকেলে বাড়িতে কথা বলবে বলে হোস্টেলের কাজের বুয়ার কাছে ফোন চায় সে। তবে বুয়া ফোন দিতে অস্বীকার করে। তখন সে বুয়াকে বলে- ফোন যেহেতু দিবেন না, তাহলে আমার বাড়িতে ফোন দিয়ে বলেন, আমার লাশ নিয়ে যেতে।

এরপর বুয়া দৌড়ে গিয়ে শিক্ষকদের কাছে এ কথা জানায়। তারা সপ্তম তলার ৭০১ নম্বর রুমে গিয়ে দেখতে পায়- জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে খাটের উপর অচেতন অবস্থায় কাত হয়ে বসে আছে আবির। তখন তারা দ্রুত আবিরকে নিয়ে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাতেই তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঢামেক কলেজ মর্গে আবিরের বাবা ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান খান জানান, গতকাল তার সবকিছুই ভালো ছিল। বাড়ি থেকে আসার সময় আবির মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে আসে। এরপর তাকে হোস্টেলে পৌঁছে দিয়ে গ্রামের বাড়ির দিকে চলে যাই। রাতে বাসায় পৌঁছানোর আগেই আবার হোস্টেল থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়- আবির অচেতন হয়ে পরে আছে, আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। পরে তিনি রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে গিয়ে ছেলের মৃতদেহ দেখতে পান।

তবে কী কারণে ছেলের মৃত্যু হতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানাতে না পারলেও ছেলের মৃত্যু অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন ফজলুর রহমান খান।

শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখার পরিচালক মোহাম্মদ বকুল মিয়া বলেন, গতকাল দুপুরে সে বাবার সঙ্গে হোস্টেলে আসে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ তাকে খবর দেওয়া হয়। পরে সপ্তম তলায় ৭০১ নম্বর রুমে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় হেলান দিয়ে অচেতন অবস্থায় বসে আছে আবির- বুয়া এ ঘটনা দেখতে পেয়ে সবাইকে খবর দেয়। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

সারাবাংলা/এসএসআর/এনএস

শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর