স্লোগান লিখে জিতলেন ওয়ালটনের এসি, ওভেন ও ব্লেন্ডার
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৩৫
ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনার নিয়ে স্লোগান বা ট্যাগলাইন লিখে ফ্রি এসি, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও ব্লেন্ডার জিতে নিয়েছেন তিন জন। ওয়ালটনের ‘ক্রিয়েটিভিটি চ্যালেঞ্জ সিজন-১’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনে ওই পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকার মিরপুরের অজুফা আক্তার, চট্টগ্রামের সালমান রহমান ও নোয়াখালীর জিকো রড্রিক্স।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ওয়ালটন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি শেষ হওয়া ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ডে দুই হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। ওই রাউন্ডে সেরা তিনটি ট্যাগলাইন বা স্লোগান বাছাই করা হয়েছে।
সেরা ট্যাগলাইনার হিসেবে অজুফা ওয়ালটন এসির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, ‘ওয়ালটন স্মার্ট এসি, খরচ কম ঠান্ডা বেশি।’ সালমান লিখেছিলেন, ‘গরম যখন চরমে, ওয়ালটন এসি নিয়ে থাকুন আরামে।’ অন্যদিকে জিকোর ট্যাগলাইন ছিল— ‘অস্থির গরমে স্বস্তির ছোঁয়া।’
ওয়ালটন জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে উপহার হস্তান্তর করা হয়েছে। ওয়ালটন থেকে পাওয়া এসিটি অজুফা আক্তারের বাসায় বিনামূল্যে ইনস্টলও করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় বিচারকদের মধ্যে ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তানভীর রহমান এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম ও আমিন খান।
ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান, ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ট্যাগলাইন বা স্লোগানগুলো গুগল ফর্মের মাধ্যমে ওয়ালটন এসির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কমেন্ট ও মেসেজের মাধ্যমে জমা দেন। এরপর ওয়ালটন স্মার্ট এসি’র ক্রিয়েটিভিটি চ্যালেঞ্জের ফটো ব্যানারটি নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে শেয়ার করেন। একই ট্যাগলাইন বা স্লোগানের জন্য একাধিক অংশগ্রহণকারীর ক্ষেত্রে প্রথম জমা প্রদানকারীই প্রাধান্য পেয়েছেন। ওয়ালটন এসি নিয়ে ট্যাগলাইন বা স্লোগান বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই জমা দেন তারা।
হুমায়ূন কবীর বলেন, করোনাকালে অধিকাংশ মানুষই বাসায় সময় কাটাচ্ছিলেন। সেই সময়ে ওয়ালটন এসি বিভাগ তাদের সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত রেখে কর্মদক্ষতা ও মেধা কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে ওই ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হয়। ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় শিগগিরই ‘ক্রিয়েটিভিটি চ্যালেঞ্জ সিজন-২’ শুরু করতে যাচ্ছে ওয়ালটন।
স্লোগান লিখে পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে অজুফা আক্তার বলেন, লকডাউনে গরমের মধ্যেই হোম অফিস করছিলাম। একদিন সোস্যাল মিডিয়ায় ওয়ালটনের ক্যাম্পেইনটি চোখে পড়ে। তখনই লিখে ফেলি ওই ট্যাগলাইন। আমি ভুলে গিয়েছিলাম ওয়ালটনের এমন একটি ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছি। হঠাৎ ওয়ালটনের পক্ষ থেকে জানানো হলো আমি প্রথম হয়েছি এবং পুরস্কার হিসেবে একটি এসি পেয়েছি। ওয়ালটনের টেকনিক্যাল টিম এসে আমার বাসায় এসি ইনস্টল করে দিয়েছে। আমি সত্যিই অভিভূত। এই গরমে আমাকে আর কষ্ট করতে হবে না। ওয়ালটনকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরেক বিজয়ী জিকো রড্রিক্স বলেন, জীবনে এই প্রথম কোনো পুরস্কার পেলাম। ফেসবুকে চোখ বুলাতে গিয়ে ওয়ালটনের ট্যাগলাইন লেখা সংক্রান্ত বিষয়টি সামনে আসে। বিষয়টি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটনের পণ্য পছন্দ করি। দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই ব্র্যান্ডের প্রতি আলাদা ভালোলাগা কাজ করে। ফ্রিজ, টিভিসহ বাসায় বহু পণ্যই ওয়ালটন থেকে কেনা। সেগুলো খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে।
এদিকে, ওয়ালটনের কর্মকর্তারা জানান, এসি ক্রেতাদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ‘এসি এক্সচেঞ্জ অফার’-এর আওতায় যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি জমা দিয়ে গ্রাহক তার পছন্দের নতুন ওয়ালটন এসির মূল্য থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। ক্রেতারা ঘরে বসে ফোন করলেই কাছাকাছি প্লাজা অথবা ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওয়ালটন পণ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রয়েছে ফ্রি ইন্সটলেশন।
করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে ঘরকে সুরক্ষিত রাখতে ডুয়েল ডিফেন্ডার, আয়োনাইজার, ইউভি (আল্ট্রা ভায়োলেট) কেয়ার প্রযুক্তি সম্বলিত এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের ইনভার্না এসির ইকো-মুডে প্রতি ঘণ্টায় বিদ্যুৎ খরচ পড়ছে মাত্র ২ টাকা ৮৮ পয়সা, যা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট সার্টিফায়েড। রয়েছে মোবাইল ফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য স্মার্ট এসি। এছাড়া সম্প্রতি ওশেনাস সিরিজের ভয়েস কন্ট্রোল এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। রিমোটের পাশাপাশি কথা বলেই ওই এসি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ওয়ালটন আরও জানিয়েছে, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, হাসপাতাল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কনফারেন্স হলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট এবং সিলিং টাইপ এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আবাসিক ভবন, ফ্ল্যাট বাড়িসহ ছোট-বড় সব ধরনের স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের আছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ ও চিলার। আর ঘরে ব্যবহারের জন্য রয়েছে অসংখ্য মডেলের ১, ১.৫ ও ২ টনের স্প্লিট টাইপ এসি। এসব এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে।
দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারাদেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ান ও সার্ভিস এক্সপার্টরা প্রতি ১০০ দিন পর পর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন।
সারাবাংলা/টিআর