ব্যবসায়িক স্বার্থ উন্নয়নে এএএফএ’র প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ’র
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৪৪
ঢাকা: মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক স্বার্থ উন্নয়নে দ্য আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে এএএফএ সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন লামারের সঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ও সহ-সভাপতি মিরান আলী সাক্ষাৎ করে এ আহ্বান জানান।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে। ওই বৈঠকে এএএফএ এবং অন্যান্য সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএ এবং এএএফএ’র মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততাকে কীভাবে আরও সুদৃঢ় করা যায় এবং সেইসঙ্গে আর কোন কোন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে, তা খুঁজে বের করাসহ বাণিজ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বছরের পর বছর নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন ও শ্রমিকদের কল্যাণে অভূতপূর্ব পদক্ষেপের জন্য বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। হংকংভিত্তিক সাপ্লাই চেইন কমপ্লায়েন্স সল্যুশনস প্রোভাইডার তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইথিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে। নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা ছাড়াও বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রিন পোশাক কারখানার আবাসস্থল।’
তিনি দ্য আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ ও টেকসই পোশাক-সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তার সদস্যদের মাঝে প্রচার করা এবং নন-কটন পণ্যসহ আরও অধিক পরিমাণে তৈরি পোশাক বাংলাদেশ থেকে সোর্সিংয়ে সদস্যদের উৎসাহিত করার অনুরোধ জানান।
আলোচনায় বিজিএমইএ পোশাক শিল্পের ভবিষ্যত সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ বিশেষ করে নন-কটনের ক্ষেত্রে শিল্পকে আপগ্রেড করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
নন-কটন, টেকনিক্যাল টেক্সটাইলস এবং হাই-ভ্যালুড পোশাক আইটেমে এএএফএ সদস্যদের বিনিয়োগকে স্বাগত জানান ফারুক হাসান। তিনি মার্কিন বাজারে চাহিদা আছে- এমন পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশি পোশাক প্রস্তুতকারকদের সহযোগিতা দেওয়ার অনুরোধ জানান। যাতে তাদের সক্ষমতা বাড়ে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পণ্যে বৈচিত্র্যকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
এএএফএ তাদের সদস্যদের মাধ্যমে ব্র্যান্ড বাংলাদেশ এবং ব্যবসায়িক স্বার্থের উন্নয়নে বিজিএমইএ’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ জানিয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম