সারাবাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর চলাচলের উপযোগী হলো রাস্তা
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:২৪
সিরাজগঞ্জ: ‘৬০ বছরের অপেক্ষায় পাওয়া রাস্তা ১৫ দিনেই পুকুরে!’ শিরোনামে গত ৯ সেপ্টেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল সারাবাংলা ডটনেটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে বাঁশের প্যালাসাইটিং দিয়ে বালুর বস্তা বসিয়ে অস্থায়ীভাবে আপাতত চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ঘরগ্রাম পূর্বপাড়াবাসীর সেই স্বপ্নের রাস্তা। এতে স্থায়ী সমাধান না হলেও আপাতত ভোগান্তি কমেছে কিছুটা। প্রয়োজনে এখন চলতে পারবে অটোভ্যান ও হালকা যানবাহনও।
‘এটা সাময়িক চলাচলের জন্য করা হয়েছে’, জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্ষার পরে রাস্তাটি স্থায়ীভাবে আবার করে দেওয়া হবে।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধসে যাওয়া প্রায় ৫০মিটারের মতো রাস্তার পাশে পুকুরের পানিতে বাঁশ দিয়ে প্যালাসাইটিং করে সেখান দিয়ে বালুভর্তি ব্যাগ ফেলা হয়েছে। যেখান দিয়ে আপাতত চলাচল করতে পারছে অটোভ্যান, সাইকেল ও মোটরসাইকেল। তাদের দাবি, বর্ষার শেষেই যেন রাস্তাটি পরিপূর্ণভাবে সংস্কার করা হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্ষার কারণে রাস্তাটি ধসে যাওয়ায় গ্রামবাসীর চলাচলে বড় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই সমস্যা আপাতত কাটিয়ে তুলতেই পানিতে বাঁশ দিয়ে বালুর বস্তা ফলে চলাচলের উপযোগী করতে এই পদক্ষেপ। বন্যার পানি নেমে গেলেই রাস্তাটি স্থায়ীভাবে মেরামত করে দেওয়া হবে।
রাস্তাটির কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাঁশ ও বালু দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করে আপাতত চলার উপযোগী করে দেওয়া হয়েছে। বর্ষা চলে গেলেই সেখানে মাটি ফেলে আবার রাস্তা করা হবে।’
তাড়াশ উপজলো প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘আপাতত চলাচলের জন্য অস্থায়ীভাবে বাঁশ ও বালুর ব্যাগ দিয়ে রাস্তাটিতে মানুষজনের চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তবে সেখানে পর্যাপ্ত মাটি ফেলে পুনরায় রাস্তার কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বন্যার পানি চলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়াও সেখানে ব্লক দেওয়া যায় কি না সেটাও আমরা চিন্তা করছি।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু সেখানে পানি ও এই মুহূর্তে মাটি পাওয়া যাচ্ছে না তাই আপাতত চলাচলের জন্য এই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তাটি সঠিকভাবে নির্মাণ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
সারাবাংলা/এমও