Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব, হাস্যকর বলছেন নেতারা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৪০

ঢাকা: জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গতকাল রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউ থেকে ১১ জন সাংবাদিক নেতার অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বিএফআইইউ থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য (অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, কবে খোলা হয়েছে, জমা, উত্তোলনসহ লেনদেন বিবরণী, অ্যাকাউন্টের স্থিতি) আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে পাঠাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও চিঠিতে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নম্বরও দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংক হিসাব তলব করা ১১ জন সাংবাদিক নেতা হলেন- জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান। বাংলাাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি (আওয়ামী লীগ সমর্থিত) মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএনপি সমর্থিত) সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালীন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান। এছাড়াও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি (বিএনপি সমর্থিত) আব্দুল কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (আওয়ামী লীগ সমর্থিত) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর নাম এই তালিকায় রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘যাদের অঢেল অর্থ সম্পদ রয়েছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করে, তালিকায় তাদের খবর নেই। অথচ যাদের সম্পদ নাই তাদের নাম এই তালিকায় রাখা হয়েছে- এটা অনেকটা হাস্যকর। তারপরেও যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে আমরা যথাসময়ে তথ্য দেব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত হবে আমাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্যগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসন্ধান করে প্রাপ্ত তথ্যগুলো আবার অনুরূপভাবে প্রকাশ করা।’

বিজ্ঞাপন

মোল্লা জালাল আরও বলেন, ‘আমাদেরে ব্যাংক হিসাবের প্রাপ্ত তথ্যগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক যেন জনসম্মুখে প্রকাশ করে। তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি সাধারণ মানুষ আস্থা রাখতে পারবে। আর যদি বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্যগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ না করে, তাহলে এটা অন্যায় হবে। আমি আশা করি বাংলাদেশ ব্যাংক তা করবে না।’

অন্যদিকে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানি সারাবাংলাকে বলেন, ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব সংক্রান্ত খবরে আমার নামটি দেখে খুবই অবাক হয়েছি। এখানে আমার বক্তব্য হচ্ছে- আমাকে যারা ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করেন, তারাও আমার আর্থিক সততা নিয়ে প্রশ্ন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি না। তাছাড়া আমার স্ত্রীর অসুস্থতাসহ পারিবারিক কারণে ব্যাংকে আমি অনেক টাকা ঋণগ্রস্থ। যেসব নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট দফতর সেই তথ্য সংগ্রহ করার পর তা যেন অবশ্যই জনসম্মুখে প্রকাশ করে, সে বিষয়ে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সারাবাংলা/জিএস/এনএস

১১ সাংবাদিক ব্যাংক হিসাব তলব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর