৩য় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা নয়, প্রথম পাবলিক পরীক্ষা মাধ্যমিকে
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৫৬
ঢাকা: প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করছে সরকার। এরই মধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে রূপরেখায় তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণি শেষে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষাও থাকছে না। প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পাবলিক পরীক্ষা হবে মাধ্যমিক তথা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
এদিকে, বর্তমানে নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ বেছে নেওয়ার কথা থাকলেও নতুন নীতিমালায় মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনো বিভাগ বিভাজন থাকছে না।
দেশের শিক্ষা বিষয়ক নতুন নীতিমালার তথ্য তুলে ধরে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় তিনি জানান, নতুন এই নীতিমালার পাইলটিং করার কথা ছিল চলতি বছরে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের পাইলটিং হবে ২০২২ সালে, শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৩ সাল থেকে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
সচিবালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখার বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকবে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছিলেন। নতুন শিক্ষাক্রমে সেটি চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবার পাঠিয়ে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তাই এখন থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকবে না।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, নতুন রূপরেখায় ২০২৩ সাল থেকে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষাও থাকবে না। তিনটি পাবলিক পরীক্ষা হবে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বছর শেষে।
ডা. দীপু মনি বলেন, প্রাথমিক থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এর আগে আমাদের যত শিক্ষাক্রম ছিল, সেগুলো একটু আলাদা ছিল। আমরা মনে করছি, শিক্ষার্থীদের এক স্তর থেকে আরেক স্তরে যাওয়াটা যেন সহজ হয় সেটি মাথায় রেখেই নতুন করে কিছু বিষয় সাজানো হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর